জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঘোষিত মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সাতক্ষীরার সর্বকালের সবচেয়ে বড় কুইজ প্রতিযোগিতার পর্দা নামছে ৩ নভেম্বর।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী, তার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনসহ এদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলে ধরার প্রয়াসে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুকে জানো, বাংলাদেশকে চেনো’ শীর্ষক এই কুইজ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত রাউন্ডে মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে ৪৮টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা অংশ নেবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, বৈশি^ক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের করণীয় এবং শিক্ষার্থীদের মেধা মনন বিকাশ ও প্রতিযোগিতামূলক বিশে^ নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে সাধারণ জ্ঞান ভিত্তিক এই কুইজ প্রতিযোগিতার বিষয়- বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা ও সাহিত্য, গণিত ও মানসিক দক্ষতা, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও আইসিটি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, বাংলাদেশ ও বিশ^ পরিচয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্য, জলবায়ু ও পরিবেশ এবং এসডিজি।
প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে জেলার সাতটি উপজেলা ও দুটি পৌরসভার (মোট নয়টি ইউনিট) তিনটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উত্তীর্ণ হবে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ফাইনাল রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত করা হবে। ফাইনালে বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ নির্ধারণ করা হবে।
৩ নভেম্বর সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এসএম আফজাল হোসেনের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, জেলা প্রশাসন আয়োজিত সাতক্ষীরার সর্বকালের সবচেয়ে বড় এই কুইজ প্রতিযোগিতায় জেলার ৩৩৮টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এর মধ্যে উপজেলা পর্যায় থেকে ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইতোপূর্বে বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ হয়ে চূড়ান্ত পর্বে উন্নীত হয়েছে।
Leave a Reply