1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১১:৪৮ অপরাহ্ন
১৬ আষাঢ়, ১৪৩২
Latest Posts
📰সাতক্ষীরায় দুধে ভেজাল প্রতিরোধ এবং নিরাপদ দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত📰শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধ-বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত📰সাতক্ষীরায় সবুজ উদ্যোগ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেশন অনুষ্ঠিত📰আশাশুনির বড়দলের গোয়ালডাঙ্গায় কৃষকদলের বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন📰আশাশুনিতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের মাঝে এ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ📰আশাশুনিতে শ্রমিক দলের বর্ধিত সভা📰সংবাদকর্মীদের রক্ত ঝরল প্রেসক্লাবের সামনে: ইতিহাসে যুক্ত হলো বিভীষিকাময় দিন📰দেশে করোনাভাইরাসে আরও ২ জনের মৃত্যু, নতুন করে শনাক্ত ৭ জন📰নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি : নলতায় দুই রেস্টুরেন্টকে জরিমানা📰বন্ধ রয়েছে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম

আশাশুনিতে রাজাকারপুত্রের হাতে জিম্মি কয়েকটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বুধবার, ৩ জুলাই, ২০১৯
  • ৭৩২ সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলার আশাশুনিতে কয়েকটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানি করতে করতে কোনঠাসা করে ফেলেছে রাজাকার পরিবারের সন্তান শহিদুল ইসলাম। পুলিশের তালিকায় দুর্ধষ সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলামের নামে রাষ্ট্র বিরোধী কয়েকটি মামলা রয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে এই শহিদুলের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের কথা মনে করলে এখনো আঁৎকে ওঠেন এলাকার সাধারণ মানুষ। আলোচিত এই শহিদুল ইসলামের পিতার নাম আব্দুর রউফ সরদার। বাড়ি আশাশুনি উপজেরার শ্রীউলা গ্রামের বকচর গ্রামে। ১৯৭১ সালে এই আব্দুর রউফ ছিলেন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সহযোগী। রাজাকার আল বদর বাহিনীর সক্রিয় সদস্য আব্দুর রউফের অত্যাচারে নির্যাতনের কথা আজও ভুলতে পারেনি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ। নির্বিচারে মানুষ ধরে এনে নির্যাতন, বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করতো আব্দুর রউফ। বর্তমানে ৪টি স্ত্রী রয়েছে তার। সেই আব্দুর রউফের ছেলে শহিদুল ইসলামও থেমে নেই। তার টার্গেট এখন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।
সেই টার্গেটে পড়েছেন শ্রীউলা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমা-ার আমির হোসেন জোয়ার্দ্দার, সাবেক সেনা সদস্য মুক্তিযোদ্ধা রুহুল,সাবেক ইউনিয়ন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারি, মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাক সানা, মুক্তিযোদ্ধা নেছার উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা ছহিল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা মালেক সানা, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, মুক্তিযোদ্ধা কওছারআলীসহটি মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার।
জমিজমা নিয়ে অত্যাচার ও হয়রানি করতে করতে পরিবার গুলোকে কোনঠাসা করে ফেলেছে শহিদুল ইসলাম।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আশাশুনি উপজেলার লাঙ্গল দাড়িয়া মৌজায় জে এল নং ১১৭ এর ১১৭ ও ১৩৩ নং খতিয়ানের ৯১৯ ও ৯২৩ নং দাগে দশমিক ৭৭ একর জমি ২০০২ সাল হতে খাজনাপত্র পরিশোধ করে বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগদখল করে আসছেন মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন জোয়ার্দ্দারের ছেলে পলাশ জোয়ার্দ্দার, আব্দুল বারি মোড়লের ছেলে আবুল কালাম ও আবুল হোসেন মোল্ল্যার ছেলে আব্দুল্লাহ মোল্যা। এলাকাবাসী আরও জানান, একই মৌজায় ১নং খাস খতিয়ানের ৮০১ নং দাগে এক একর জমি বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন আবুল কালাম গং। কিন্তু রাজাকার পুত্র শহিদুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অত্যাচার ও হয়রানি করার জন্য উপরোক্ত ভিপি সম্পত্তি দখল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এ নিয়ে আদালতে মামলার পর মামলা করতে থাকে। কিন্তু প্রতিবারই আদালতের রায় তার বিপক্ষে যায়। এরপর সে ফন্দী আঁটে উক্ত ভিপি সম্পত্তি ও খাস সম্পত্তি দখল করতে সে কয়েকবার হামলা চালায়।
এদিকে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ.ফ.ম রুহুল হকের নামে একটি পাঠাগার ও মুক্তিযোদ্ধাদের বসার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্মাণ করেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। সম্প্রতি সে স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রশাসনের এই উচ্ছেদ অভিযানের সূত্র ধরে রাজাকার পুত্র শহিদুল ইসলাম উক্ত জমি দখল নিতে ফের মরিয়া হয়ে ওঠে। শহিদুল তার বাহিনী নিয়ে উক্ত জমি দখল করতে গেলে এলাকাবাসী তা প্রতিহত করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও ভূমি অফিস জানায়, সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু ডিসিআর বাতিল হয়নি। বিধি অনুযায়ী উভয় জমি রক্ষনাবেক্ষন ও ভোগ দখল করতে ডিসিআর গ্রহিতা।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd