নিজস্ব প্রতিবেদক : বালিয়াডাঙ্গায় কৃষকের খুনের ঘটনায় মামলার আসামীরা কেউ গ্রেফতার হয়নি। আসামী ও তাদের সহযোগীদের হুমকিতে নিহত পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতা রয়েছেন বলে জানাগেছে। ছাগলের পাট খাওয়া কেন্দ্র করে গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গার মসজিদের ভিতের ঢুকে আকবর সরদার (৩৫) কৃষককে কুপিয়ে জখম করা হয়। গত মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আকবর আলি। নিহত আকবর সরদার সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আহম্মদ সরদারের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান সদর উপজেলার বালিডাঙ্গা গ্রামে একটি ছাগলের পাট খাওয়া কেন্দ্র করে গত ১৩ জুলাই অনুমান সন্ধ্যা ৭টার সময় মৃত আহম্মদ আলির ছেলে আকবর আলি ও তার ভাই রইছউদ্দীনসহ আরো অনেকে বালিয়াডাঙ্গা মাঝেরপাড়া জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে যান। এসময় একই গ্রামের ওজিয়ারের মাদক সম্রাট ও দুধর্ষ ক্যাডার বাবুলের ইন্ধনে একই এলাকার সাত্তার সরদারের ছেলে আহছান, আক্তারুল। পরান সরদারের ছেলে আব্দুল্লাহ, মতলেব, আবু তালেব। অজেদ মোড়লের ছেলে বিল্লাল। ওয়াছের ছেলে কদ্দুস, ইদ্রিস। তালেবের ছেলে আসাদুল ও দুস্তরি ছেলে সাত্তার অজ্ঞাত ৮/১০ জন ব্যাক্তিরা ধারালো দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ওই মসজিদের ভিতরে ঢুকে নামাজ আদায়ের পূর্বে তাদেরকে হত্যা করার উদ্যেশে তারা আকবর আলি ও তার ভাই রইছউদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এতে আকবর আলি মাথায় মারাত্মক আঘাত পায় ও রইছউদ্দিনের হাত ভেঙে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে আকবর আলির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এ হামলার ঘটনায় গত ১৪ জুলাই নিহতর ভাই গফফার সরদার বাদী হয়ে ১০ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৮/১০ জনের আসামী করে সাতক্ষীরা থানায় মামলা করা হয়। যার মামলা নং- ৩৫। তবে ইন্দ্ধোনদাতা বাবুলসহ আসামীরা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে এলাবাসি জানান। সদর পুলিশ এস আই তরিকুল জানান আসামীরা পলাতক রযেছেন। এদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছেন। আকবর আলির খুনের আসামি ও তাদের সহযোগিদের গ্রেফতারের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিহত পরিবারের লোকজন।
Leave a Reply