নিজস্ব প্রতিবেদক :২০০৯ সালে আইলায় সমগ্র গাবুরাসহ বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হলে সরকারি দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পটি অক্ষত ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি নদী ভাঙ্গনে প্রকল্পটি মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে। এতে করে প্রকল্পটি বিলিন হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীরা। নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে এলাকাবাসী ইতোমধ্যে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াসও দিয়েছেন।
জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন ১২ নং গাবুরার ৯ নং সোরা গ্রামের খোলপেটুয়া নদী অববাহিকায় অবস্থিত সরকারি দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প। বর্তমানে প্রকল্পের সিমানা রাস্তার ভিতরে তিনধারে খাল,ফসলী জমি, নানা জাতের বৃক্ষ, খাবারপানির পুকুর, সাইক্লোন শেল্টার কাম প্রাইমারী স্কুল, মসজিদ ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা রয়েছে। ২০০৩ সালে দৃষ্টিনন্দন ইকোপার্ক আদলে সরকারি ভাবে নদীচরে তৈরি হয় এই স্থাপনা। গ্রামের মানুষের সর্ববৃহৎ সমস্যা খাবার পানির সমস্যা সমাধান কল্পে জনদাবীর প্রেক্ষিতে দৃষ্টিনন্দন তৈরি হয়। ২০০৯ সালে গাবুরা প্লাবিত হলেও দৃষ্টিনন্দন অক্ষত থাকে। হাজার হাজার বিপন্ন পরিবার এইখানের খাবার পানির পুকুরের পানি পান করেছে এবং অদ্যবধি গ্রামবাসিরা পান করে। কিন্তু গত ২ মাস আগে খোলপেটুয়া নদীর দিক পরিবর্তন হওয়ায় ভয়াবহ নদীভাঙ্গনে কয়েকশত মিটার নদীচর বিলীন হয়ে যায়।
দৃষ্টিনন্দনের পশ্চিম পার্শ্বের রাস্তা নদী ভাঙ্গনে ঝুঁকির মুখেস্থানীয় ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শেখ আজিজুল ইসলাম ও দৃষ্টিনন্দন জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ইউনুচ গাজী জানান, এই মুহুর্তে ভাঙ্গন রোধে এগিয়ে না এলে প্লাবিত হতে পারে দৃষ্টিনন্দনের ভিতরের সকল প্রতিষ্ঠান ও গাবুরার প্রধান খাবার পানির পুকুরটি। ভাঙ্গনের প্রভাবে দৃষ্টিনন্দন থেকে হরিসখালী ঘাট পর্যন্ত ২কিলোমিটার নদীচর ভেঙ্গে ওয়াব্দার রাস্তার পার্শ্ব পর্যন্ত ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে।
সরকারি ভাবে রাস্তার কাজটি হলেও হচ্ছেনা ভাঙ্গন রোধের উদ্যোগ। ইউনিয়নবাসির দাবী দৃষ্টিনন্দন সংলগ্ন ভাঙ্গনটি জরুরী ভিত্তিতে রোধ করার উদ্যোগ নেওয়া। তা না হলে নদী অববাহিকায় বন, দৃষ্টিনন্দন ও বেড়িবাঁধ মারাত্বক ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হতে পারে।
Leave a Reply