আদালত ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য বসত ঘরের উপর দিয়ে হাইভোল্টেজের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আইন আদালত ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে বসত ঘরের উপর দিয়ে রাতের আধারে ১১ হাজার কে.ভি সম্পন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জি এম।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কালিগঞ্জ উপজেলার মৃত ময়নুদ্দিন আহমেদের পুত্র গোলাম রহমান কালিগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং- দেং ২১/১৯। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পল্লী বিদ্যুৎ এর জি এম কে কারণ দর্শাণোর নোটিশ প্রদান করে। কিন্তু সুচতুর জি এম জবাব দেওয়ার জন্য বার বার সময়ের আবেদন করতে থাকেন। একপর্যায়ে আদালতে কোন প্রকার জবাব না দিয়ে আদালত কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোন প্রকার আইন ও আদালতের তোয়াক্কা না করে বসতবাড়ির উপর দিয়ে ওই ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ দেন জি এম।
ভুক্তভোগী গোলাম রহমান বলেন, ঘরের সামান্য পাশেই ফাঁকা অনেক জায়গা রয়েছে। কিন্তু জি এম কে বার বার অনুরোধ করা হলেও আমার বাড়ির টিনের চাউলের উপর দিয়ে ওই সংযোগটি চালু করে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এতে করে আমার পরিবার বর্তমান চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কারণ ওই ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কারণে আমার পরিবারের সদস্যরা সব সময় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ সংযোগ কারো বাড়ির উপরে থাকলে ওই পরিবারের বাচ্চাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। আমার বাড়িতে দুটি বাচ্চা রয়েছে। অনন্ত তাদের জীবনের কথা ভেবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করা হলেও তারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে রাতারাতি সংযোগ দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহোদয় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও তারা এ নির্দেশও অমান্য করেন। সর্বশেষ পল্লী বিদ্যুতের চেয়ারম্যানের কাছে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আবেদন করা হলে তিনি সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জি এমকে মেইল পাঠিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ওই মেইলটি ভূয়া বলে প্রচার করেন এবং রাতারাতি গোলাম রহমানের বাড়ির টিনের চাউলের উপর দিয়ে সংযোগটি দেন। এবিষয়ে ভূক্তভোগী গোলাম রহমান আইন আদালত ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ অমান্যকারী জি এমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *