পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি। পাইকগাছা কয়রার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন নির্বাচনী এলাকা পাইকগাছা-কয়রার মাটি অত্যান্ত সমৃদ্ধ। এই মাটিতে বিজ্ঞানী, সু-সাহিত্যিক ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পীসহ অসংখ্য গুনীব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছেন। যাদের মধ্যে শহীদ এমএ গফুর অন্যতম। এমপি বাবু বলেন এমএ গফুর ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ, তিনি বঙ্গবন্ধুর কাছের মানুষ হওয়া সত্বেও সাধারণ জীবন যাপন করতেন। এমএ গফুর একাধারে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক,ভাষা সৈনিক ও সাবেক এমএনএ ছিলেন। তিনি একদিকে যেমন ৫২’র ভাষা আন্দোলনে খুলনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন, তেমনি জীবনেরর ঝুঁকি নিয়ে ব্যাংক অপারেশন করে মহান মুক্তিযুদ্ধে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। মহান এই ব্যক্তি স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর পরই বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমেই পাইকগাছা থেকে সুখী-সমৃদ্ধিশীল বাংলাদেশ গড়ার শুভ সুচনা করেন। তার শূন্যতা কখনো পূরণ হবার নয় উল্লেখ করে এমপি বাবু আরো বলেন বঙ্গবন্ধু ও শহীদ এমএ গফুরের জীবন আদর্শ ভবিষ্যত প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরা প্রয়োজন। এজন্য এলাকায় বঙ্গবন্ধু ও এমএ গফুরের স্মৃতি বিজড়িত স্থান রয়েছে সেসব স্থান সংরক্ষন করা হবে। তিনি মঙ্গলবার বিকালে পাইকগাছা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শহীদ এমএ গফুরের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। শহীদ এমএগফুর স্মৃতি সংসদের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টুর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক ময়নুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, বিএমএ কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ শেখ মোহাঃ শহীদুল্লাহ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, শহীদ এমএগফুর স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক এসএম সাইফুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আফি আজাদ বান্টি, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি এফএমএ রাজ্জাক, উদযাপন কমিটির আহবায়ক এমএম আজিজুল হাকিম, সদস্য সচিব সাংবাদিক আব্দুল আজিজ, কমরেড শেখ আব্দুল হান্নান, ইঞ্জিনিয়ার মারুফ বিল্লাহ, ডাঃ আওরোঙ্গজেব প্রিন্স। দোয়ানুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাওঃ রইসুল ইসলাম। উল্লেখ্য ১৯৭২ সালের ৬ জুন আততায়ীর গুলিতে এমএ গফুর শহীদ হন।
Leave a Reply