যানবাহনে ব্যবহৃত গোপন স্টিকারে ৫লক্ষাধিক টাকা মাসোয়ারা আদায়



শেখ জাকির হোসেন ॥
সাতক্ষীরা জেলা ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর (টিআই) মমিন উদ্দীনের বিরুদ্ধে কেস স্লিপ বানিজ্য পর এবার যানবাহনে ব্যবহৃত গোপন স্টিকারের মাধ্যমে ৫লক্ষাধিক টাকা মাসোয়ারা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১১জুন সাতক্ষীরা ট্রাফিক পুলিশের নানাবিধ অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে তথ্যভিক্তিক সংবাদ বিভিন্ন প্রিন্ট এবং অনলাইনের পোর্টালে প্রকাশিত হলে গাত্রদাহ শুরু হয়। দূর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা নিজের অপকর্ম ঢাকতে এবং সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে রাজনৈতিক নেতা ও মহল বিশেষের কাছে ধর্ণা দিয়ে ব্যার্থ হন ।
অনুসন্ধান করে জানা গেছে, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পণ্য পরিবহন সংস্থার নামে যানবাহনে ব্যবহৃত গোপন সংকেত হিসেবে সাতক্ষীরার আলিফ ও এনপি মটরস ,ফরিদপুর জেলার কানাইপুরের মাসুদ মটরস, ঝিনাইদহের একতা,হাবিব,মুক্তার,কালিগজ্ঞের জে কে ,যশোরের কে এম ব্রাদার্স কুষ্টিয়ার আরাফাত,সুজন,নাভারনের শাহাজান,মাগুরার আয়শা,এম এম টি ,রাহাবুল, মটরস সহ অর্ধশত সংস্থার নামের স্টিকার যানবাহনে ব্যবহার করে প্রতিমাসে ৫লক্ষাধিক টাকা আদায় করে আসছেন। এছাড়া জেলার ৮ থানায় অবৈধ ট্রলি,নসিমন,করিমন,ইজ্ঞিনভ্যান,আলমসাধু,মাহিন্দ্রা এসোসিয়েশন থেকে প্রতিমাসে আরও লক্ষাধিক টাকা মাসোয়ারা আদায় করে।এদিকে দূর্নীতিপরায়ন (টিআই) প্রতিনিয়ত কলারোয়া সড়কের টেকনিক্যাল কলেজ মোড়,ছয়ঘরিয়া মোড়,সাতক্ষীরা কালিগজ্ঞ সড়কের মেডিকেল কলেজের সামনে,আলিপুর পেট্রোলপাম্পের সামনে, আশাশুনি সড়কের আলিয়া মাদরাসার সামনে,খুলনা মহাসড়কের বিসিক শিল্পনগরীর সামনে ও বিনেরপোতাসহ সড়ক-মহাসড়কে যত্রতত্র যানবাহনে অভিযানের নামে ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে থাকে।
অনুসন্ধানকালে একাধিক ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্থলবন্দর ভোমরা থেকে ছেড়ে আসা পণ্য বোঝাই শত শত যানবাহন থামিয়ে কাগজপত্র চেকিংয়ে সময় ওভারলোড, বাম্পার বাড়ানো অজুহাতে গাড়ী প্রতি ১০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত টাকা দিতে হয়। অনেকের অভিযোগ রাস্তায় চলেতে হলে ট্রাফিক পুলিশের সাথে বিরোধ করে চলা খুবই কঠিন ব্যাপার।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *