বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গাছির মৃত্যু
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনিতে তাল গাছ কাটার সময় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে এক গাছির মৃত্যু হয়েছে। ৩ জুন সন্ধ্যার আগে উপজেলার দরগাহপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মৃত অহেদ আলি সরদারের পুত্র শামছুর রহমান (৬০) এলাকায় তাল ও খেজুর গাছ তোলা-চাছা করে রস আহরণ করে থাকেন। তিনি গত ৩ জুন ইফতারির আগমুহুর্তে প্রতিদিনের ন্যায় তাল গাছ কাটার কাজ করছিলেন। গাছের পাশ দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের লাইনের তার রয়েছে। অসতর্কতাবশত তিনি তার স্পর্শ করলে বিদ্যুতায়িত হয়ে গাছের উপর থেকে ছিটকে নিচে প্রাচীরের উপর পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে এ্যাম্বুলেন্সযোগে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
কুল্যায় মাদক বিরোধী র্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় মদক বিরোধী র্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে গুনাকরকাটি শাহ মোহাম্মদ ইয়াহিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সানবীম মানব কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে সংস্থার সদস্য, জন প্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, অভিভাবক, এলাকার সর্বস্তরের মানুষের অংশ গ্রহনে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রাখেন, আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবদুস সালাম। কুল্যা ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পান্নার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, আশাশুনি প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান, প্রধান শিক্ষক মোঃ সাফিউল্লাহ, ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন আঙ্গুর, ইউপি সদস্য ইব্রাহিম হোসেন গাজী, নজরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, বিশ^নাথ ও সমাজ সেবক মিজানুর রহমান। রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সংস্থার সভাপতি বাবলুর রহমান। পরে প্রধান অতিথি সংস্থার কার্যালয় লাল ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন। সবশেষে “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, মাদক হবে নিরুদ্দেশ” প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে একটি র্যালী বিভিন্ন্ সড়ক ও বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে বাজারে সংক্ষিপ্ত পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি পথ সভায়ও বক্তব্য রাখেন। তিনি এলাকা থেকে মাদক ও জুয়া নির্মূল করতে আপোষহীন ভাবে কাজ করে যাবেন বলে ঘোষণা প্রদান করেন। সাথে সাথে মাদক ও জুয়াসহ সকল প্রকার অন্যায় ও অপরাধ দমনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
পুলিশী অভিযানে গ্রেফতার- ৯
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি থানা পুলিশ পৃথক অভিযানে ৯ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান (বিপিএম) এর দিক নির্দেশনায় আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুস সালাম এর নেতৃত্বে এএসআই মোঃ মিলন হোসেন সিআর-৫৪/১৯ (ওয়ারেন্ট) আসামী বাসুদেবপুর গ্রামের আবু বক্কর কারিকরের কন্যা ছকিনা খাতুনকে গ্রেফতার কারেন। এএসআই মোল্লা সোহেল সিআর-৬২/১৯ (ওয়ারেন্ট) আসামী একই গ্রামের রশিদ গাজীর পুত্র সুজনকে গ্রেফতার করেন। এসআই (নিঃ) বিজন কুমার সরকার আশাশুনি থানার মামলা নং-০৬(০৫)১৯ এর আসামী তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের মৃত খালেক মোল্যার পুত্র আহাদ মোল্যাকে, এএসআই নাজিম হোসেন সিআর-৩৮/১৯ (ওয়ারেন্ট) আসামী বাটরা গ্রামের মৃত ছবেদ গাজীর পুত্র আরশাদ আলীকে, এএসআই হারুনর রশিদ নাঃশিঃ-৬৭/১৮ (ওয়ারেন্ট) আসামী প্রতাপনগর গ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র রবিউল ইসলামকে, সিআর-৩১/১৮ (ওয়ারেন্ট) আসামী মুনছুর গাজীর পুত্র ইয়াছিনকে, জিআর-১৫/১৯ (ওয়ারেন্ট) আসামী মৃত বসির সানার পুত্র আকবর সানাকে, জিআর-৫৮/০৮ আসামী সামের আলির পুত্র রফিকুল ইসলাম সরদারকে, পারীঃ জারীঃ ০২/১৯ (ওয়ারেন্ট) আসামী বাহাদুরপুর গ্রামের সোহান গাজীর পুত্র আবু তাহেরকে গ্রেফতার করেন।
শ্বশুরবাড়ীতে ঈদ না করায় শ্যালকদের হাতে জামাই যখম
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় শ^শুর বাড়িতে জামাই-মেয়েদের ঈদ করানোর চক্রান্তে শ্যালকের হাতে জামাই গুরুত্বও যখম হয়েছে। শুক্রবার বিকালে বুধহাটা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত সূত্রে জানাগেছে, বুধহাটা গ্রামের মরহুম মাওঃ মিয়ারাজ আলির পুত্র আবুল খায়েরের সাথে ২০০১ সালে পদ্ম বেউলা গ্রামের আঃ গফুর মাষ্টারের কন্যা আমেনা খাতুনের বিয়ে হয়। তার অপর দু’ ভায়রা ভাই আঃ কাদের ও আঃ সামাদ বিয়ের পর হতে নিজেদের বাড়িতে ঈদ না করে শ^শুর বাড়িতে ঈদ করে আসছেন। শ^শুর-শ^াশুড়ি-শ্যালকদের কুট কৌশলে তারা নিজেদের মা-বাবার সাথে ঈদ-কুরবানী না করে প্রতি বছর শ^শুরালয়ে ঈদ নিয়ে মজে থাকেন। তার বিয়ের পর বড়দের অনুস্মরণ করে তার স্ত্রী আমেনাও পিতার বাড়িতে ঈদ-কুরবানী করায় ঝুকে পড়ে। তার অর্থকড়ি নিয়ে নিজের বাড়িতে ঈদ না করে শ^শুর বাড়িতে ঈদ-কুরবানী করার ঘটনা তাকে যেমন কুরে কুরে খাচ্ছিল, তেমনি পরিবার ও প্রতিবেশী, শ^শুরবাড়ির পাশের লোকজনদের দ্বারা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছিলেন। কিন্তু প্রতিরোধ কিংবা ভিন্ন কিছু করাতে তিনি সক্ষম হচ্ছিলেন না। এবছরও তার স্ত্রী আমেনা তার সাথে ঢাকা থেকে ফিরলেও সে (স্ত্রী) শ^শুর বাড়িতে গিয়ে ওঠে। তার দুলাভাইদের কু-পরামর্শে তার ঘর নির্মানের জন্য তিলে তিলে জমানো ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিজের কাছে নিয়ে পিত্রালয়ে গিয়ে ওঠে। এভাবে বিগত ১৬ বছর তিনি পারিবারিক যন্ত্রণায় ভুগছেন। ঈদ অনুষ্ঠানে সে বাড়িতে আসেনি এবং তাদের দু’পুত্রদেরও বাড়িতে আসতে দেইনি। শুক্রবার তার ভাইরা আঃ সামাদের সাথে সে ও পুত্ররা বুধহাটা বাজার দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় তিনি (খায়ের) তার ছোট পুত্র’র হাত ধরে নিজের কাছে নিতে গেলে ভাইরা ভাই, দুই শ্যালক আরিফ, গাদ্দাফী ও শ^শুর তার উপর আক্রমন করে গুরুতর আহত করে তার পুত্রকে তার কাছ থেকে কেড়ে নেয়। তার স্ত্রী ও সন্তানরা তার সাথে যাবে, তাই যা পারিস করে নিস বলে ভায়রা হুমকী ধামকী দিয়ে চলে যায়। আহত খায়েরকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য গত কুরবানীর ঈদেও তার স্ত্রী ২৮ হাজার টাকা নিয়ে পিত্রালয়ে গিয়ে সেখানে কুরবানী দিয়েছিল। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানান হয়েছিল। অন্যদিকে বেউলা ইউপি সদস্য শীষ মোহাম্মদ জেরী ঈদ উদ্যাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন প্রতি বছরই আমেনা তার পিত্রালয়ে ঈদ উদ্যাপন করে থাকেন। ঈদ উদ্যাপনের বিষয়কে কেন্দ্র করে নিরীহ জামাই এর উপর হামলার ঘটনার বিচার দাবী জানিয়েছেন আহত পরিবারের লোকজন।
বাকড়ায় শৌচাগারের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার বাঁকড়া গ্রামে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব ও কাঁচা পায়খানা নির্মান করে প্রতিবেশীদের বসবাসে কষ্টকর পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে প্রকাশ, বাঁকড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলি সরদারের পুত্রদের বাড়ির পাশে প্রতিবেশী মৃত গোলাপ সরদারের পুত্র এশার আলি ও ওহাব আলিরা বসবাস করেন। বাড়ির সীমানায় তাদের বসবাস। তারা তাদের বাড়ির সীমানায় ৩টি অস্বাস্থ্যকর কাচা শৌচাগার নির্মান করেছেন। রান্নাঘরের কাছে গোয়ালঘর নির্মান করেছেন। যার দুর্গন্ধে তাদের বসবাস ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাদের পথের পাশে পুকুর খনন করায় পথটি ভাঙতে ভাঙতে হুমকীতে আছে। ওহাব আলীর ভাই এক্তার আলি ২০১৪ সালে তাদের বাড়ির পাশে সরকারি রাস্তা সংলগ্ন ৫.৬৪ শতক জমি বিক্রয় করেন। যা তারা ভোগদখলে আছেন। কিন্তু তারা তাদের দখলকৃত স্থানের দখল ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র দখল নিতে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। এসআই জাকির হোসের শুক্রবার ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন। তিনি কাচা পায়খানা সরিয়ে নিতে বা স্বাস্থ্যকর পায়খানা নির্মানের নির্দেশ প্রদান করেন। জমাজমির বিষয়টি আগামী শুক্রবার উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে ফয়সালা করবেন বলে জানান। এশার আলি বলেন, আর্থিক সংগতির অভাবে পায়খানা পাকা করা সম্ভব হয়নি। সীমানা নির্ধারিত না হওয়ায় পুকুর পাড়ের কাজ করতে পারছেন না। কারো ক্ষতির মানসিকতা তাদের নেই। কাগজপত্র ও দখল দেখলে জমির দ্বন্দ্ব মিমাংসা করা সম্ভব হবে।
পূর্র্ব শত্রুতার জের ধরে হামলায় আহত-৪
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের একসরা গ্রামে জমাজমি সংক্রান্ত পূর্র্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪জন আহত হয়েছে। বৃৃহস্পতিবার একসরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে প্রথমে আশাশুনি ও পরে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমজেদ গাজী বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। লিখিত এজাহার সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার একসরা গ্রামের আমজাদ গাজীর পুত্র শহীদুুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের সহির উদ্দীনের পুত্র হান্নান গাজীর জমাজমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। এরই জের ধরে ৬জুন মাজেদ গাজীর পুত্র সাইদুল গাজী আনুলিযার রাজাপুর বউ বাজার হতে মাছ কিনে বাড়ী ফেরার পথে উত্তর একসরা প্রাইমারী স্কুলের সন্নিকটে পৌছলে পূুর্ব পরিকল্পিতভাবে মৃত জিয়াদ সরদারের পুত্র আলমগীর হোসেন ও মৃত ছলেমান গাজীর পুত্র কামাল গাজীর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র্রে সজ্জিত হয়ে ১৫/২০জন আবু সাঈদের উপর হামলা চালায়। সাঈদের বাড়ীর লোকজন জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করা হয়। হামলায় আমজেদ গাজীর পুত্র শহীদুল ইসলাম (৩৫), মাজেদ গাজীর পুত্র সাইদুল গাজী (২৪), আমজেদ গাজীর পুত্র মফিজুল গাজী(২৮), মাজেদ গাজীর পুত্র জাহিদুল (২২) আহত হয়। আহতদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে আশাশুনি এবং অবস্থার অবনতি হলে পরে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুল্যায় ঈদ উপলক্ষে লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে বাবলা স্মৃতি লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে কুল্যা ইউনিয়নের আইতলা ডিপ টিউবওয়েল মাঠ চত্বরে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। আইতলা-মহাজনপুর মিতালী যুব সংঘের আয়োজনে খেলায় মাহমুদ আলি ও খলিলের নেতৃত্বে লাঠিয়াল দল আকর্ষণীয় লাঠি খেলা প্রদর্শন করেন। শত শত নারী-পুরুষ-শিশু দর্শকের মন মাতানো লাঠিখেলায় একক, দ্বৈত ও দলগত খেলা উপহার দেওয়া হয়। এরপর তৈলাক্ত কলাগাছের মাথায় উঠে পুরস্কার নামিয়ে নেওয়া প্রতিযোগিতায় শিশু মাহমুদুল হাসান আল সানি ১ম স্থান অধিকার করে। সবশেষে যাদু প্রদর্শণীতে যাদুকর মাহমুদ সরদার খুদিরামের ফাঁসিসহ বিভিন্ন যাদু প্রদর্শন করেন। ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, মিতালী যুব সংঘের সভাপতি রবিউল ইসলাম শান্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রায়হান গাজী, আওয়ামীলীগ ওয়ার্ড সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাবেক মেম্বার ও পুলিশিং কমিটির সভাপতি নূর ইসলাম গাজী, ওজিয়ার রহমান খোকন, ছাত্রনেতা জিল্লুর রহমান প্রমুখ। সবশেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বুধহাটা বাজারে চান্নির মুখ দখল করে অবৈধ ভাবে পাকা ঘর নির্মান
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বুধহাটা বাজারে মিষ্টি চান্নিতে প্রবেশ পথ দখল নিয়ে সরকারি জমিতে অবৈধ ঘর নির্মান করা হয়েছে। স্থায়ী পাকা ঘর নির্মান করে বহাল তবিয়তে ব্যবসা শুরু করায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিরূপ আলোচনার পাশাপাশি অবৈধ দখলে উৎসাহ সৃষ্টি করছে। বুধহাটা বাজারের নদীর সাইটে মৎস্য চান্নির পাশে মিষ্টি (গুড় ও পাটালী) চান্নি স্থাপিত। চান্নিটি নির্মানের পরে চান্নিতে ক্রেতাদের যাতায়াতের জন্য উত্তর ও দক্ষিণ পাশে পথ রাখা ছিল। পূর্ব পাশে দেওয়াল উঠিয়ে দেওয়ায় সেদিক দিয়ে যাতয়াতের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে দক্ষিণ পাশের্^ বাহাদুরপুরের শংকর, জোড়দিয়ার সিরাজ ও বুধহাটার ইনছান সরদারের পুত্র তাহাজ্জেত দখলে নিয়ে অস্থায়ী ভাবে ব্যবসা শুরু করেন। তখন বাধ সাধলে তারা অস্থায়ীভাবে চট ফড়িয়ার মত বসে ব্যবসা করবেন, চান্নিতে যাতয়াতের পথ খুলে রাখবেন এবং প্রয়োজন হলে ব্যবসা গুটিয়ে সরকারি জায়গা ছেড়ে দেবেন বলে সকলকে আশ^স্থ করেন। কিন্তু না আস্তে আস্তে চান্নিতে যাতয়াতের পথ সংকুচিত করে পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়। চট ফড়িয়ার পরিবর্তে বাঁশ খুটি পুতে গোলপাতার ছাউনি, খাটিয়া স্থাপন ও মোটামুটি শক্ত ঘাটি করে দখল মজবুত করা হয়। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের ছুটির সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের মধ্যে তাহাজ্জেত তার দখলকৃত স্থানে ইট দিয়ে ভীত ও দেওয়াল গেথে টিনসেড ছাউনি দিয়ে পাকাপোক্ত দখল নিয়েছেন। ফলে বাকীরা একই কায়দায় দখল পাকাপোক্ত করতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চান্নিসেড নির্মান করলেও সেটি ব্যবহারের পথ সংকুচিত করতে করতে এখন ব্যবহার অনুপযোগি হতে চলেছে। এব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) পাপিয়া আক্তারের সাথে মোবাইল কথা বললে সাংবাদিকদেরকে তিনি জানান, অবৈধ দখল ও ঘর নির্মানের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আশাশুনিতে সপ্তশতী গীতাযজ্ঞ ও দ্বি-বার্ষিক ব্রাহ্মণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের কাপসন্ডায় সপ্তশতী গীতাযজ্ঞ ও দ্বি-বার্ষিক ব্রাহ্মণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে কাপসন্ডা (গদাইপুর) সার্ব্বজনীন শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী মন্দির প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদের মহাসচিব বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য তার বক্তব্যে বলেন, ব্রাক্ষণ সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও গীতা পাঠের মধ্যদিয়ে ধর্মীয় শিক্ষায় পারদর্শী হতে হবে। তাহলে সমাজ ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। সম্প্রতি একশ্রেনীর মানুষ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে চলছে। তাদের হুশিয়ারী করে তিনি বলেন, ব্রাক্ষণ পরিবারের উপর কোন ধরণের আঘাত আনার চেষ্টা করবেন না। যদি কেউ এমন অপচেষ্টা করেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বাংলাদেশ ব্রাক্ষণ সংসদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে বাংলাদেশ ব্রাক্ষণ সংসদ সাতক্ষীরা জেলার আহবায়ক করুণা কান্ত ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য বাখেন, আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি ও এমপি প্রতিনিধি সজল মুখার্জী, বাংলাদেশ ব্রাক্ষণ সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক তরুণ আচার্য, খুলনা জেলার সভাপতি গোপাল মূখার্জী, সাতক্ষীরা জেলা প্রশিক্ষক সঞ্জয় চক্রবর্তী, জেলা মন্দির ঐক্য ধর্মের সদস্য কিরণ চন্দ্র ভট্টাচার্য্য, শ্যামনগর উপজেলার সমাজসেবা অফিসার কিরণ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু মূখার্জী প্রমূখ। এর আগে জগদ্ধাত্রী মন্দির প্রাঙ্গনে সপ্তশতী গীতাযজ্ঞ (হোমযজ্ঞ) করা হয়। হোমযজ্ঞে সাতক্ষীরা খুলনা ও ঢাকা জেলার ২৫জন ব্রাক্ষণ অংশ গ্রহন করেন। অনুষ্ঠানে করুণা কান্ত ব্যানার্জীকে সভাপতি ও শংকর ব্যানার্জীকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ ব্রাক্ষণ সংসদ সাতক্ষীরা জেলার কমিটি ঘোষণা করা হয়। এসময় সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা ও ঢাকা জেলার শত শত ব্রাক্ষণ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply