1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
১৭ আষাঢ়, ১৪৩২
Latest Posts
📰সাতক্ষীরায় দুধে ভেজাল প্রতিরোধ এবং নিরাপদ দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত📰শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধ-বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত📰সাতক্ষীরায় সবুজ উদ্যোগ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন বিষয়ক সেশন অনুষ্ঠিত📰আশাশুনির বড়দলের গোয়ালডাঙ্গায় কৃষকদলের বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন📰আশাশুনিতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের মাঝে এ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ📰আশাশুনিতে শ্রমিক দলের বর্ধিত সভা📰সংবাদকর্মীদের রক্ত ঝরল প্রেসক্লাবের সামনে: ইতিহাসে যুক্ত হলো বিভীষিকাময় দিন📰দেশে করোনাভাইরাসে আরও ২ জনের মৃত্যু, নতুন করে শনাক্ত ৭ জন📰নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি : নলতায় দুই রেস্টুরেন্টকে জরিমানা📰বন্ধ রয়েছে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম

সন্তানের কান্না শুনে মৃত্যুর চার ঘণ্টা পরে বেঁচে উঠলেন মা!

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ৯ জুন, ২০১৯
  • ২৭৬ সংবাদটি পড়া হয়েছে

এই পৃথিবীতে কত বিচিত্র ঘটনাই যে ঘটে! সমস্ত ঘটনার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও সব সময় মেলে না। তেমনই এক ব্যাখ্যার অতীত ঘটনা ঘটে গিয়েছে হ‌ংকং-এর কুইনস এলিজাবেথ হাসপাতালে, যেখানে সদ্য প্রসব করা সন্তানের আকুল কান্না মৃত্যুর জগত থেকে ফিরিয়ে এনেছে এক মৃত মা-কে।

জুলিয়া মার্থার শরীরে গর্ভাবস্থাতেই কিছু জটিলতা দেখা গিয়েছিল। ডাক্তাররা আশঙ্কা করেছিলেন, সন্তান প্রসবের সময়ে তাঁর অথবা তাঁর সন্তান— কোনও এক জনের প্রাণসংশয় হতে পারে। কার্যক্ষেত্রে তেমনটাই ঘটে। সুস্থ সন্তান প্রসব করেন জুলিয়া। কিন্তু সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরেই হৃদস্পন্দন স্তব্ধ হয়ে যায় তাঁর। ডাক্তাররা বুঝে যান, যা আশঙ্কা করেছিলেন, ঠিক সেটাই ঘটেছে। প্রসবের সময়ে মারা গিয়েছেন জুলিয়া।

কিন্তু ডাক্তাররা জানতেন না, কোন অত্যাশ্চর্য ঘটনা অপেক্ষা করে রয়েছে তাঁদের জন্য। জন্মের পর থেকেই ক্রমাগত কেঁদে চলেছিল জুলিয়ার পুত্রসন্তানটি। ডাক্তাররা নানা ভাবে বাচ্চাটিকে চুপ করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সে থামার পাত্রই নয়। ডাক্তার ও নার্সদের মনে হয়, মায়ের শরীরের সান্নিধ্য হয়তো চুপ করাতে পারে শিশুটিকে।

কিন্তু সেই মা তো আর জীবিত নেই তখন‍! যাই হোক। হাসপাতালের কর্মীরা শিশুটিকে নিয়ে যান মায়ের মৃতদেহের কাছে। শিশুটি নিজের ছোট্ট দু’টি হাতে আঁকড়ে ধরে চার ঘণ্টা আগে মৃত মায়ের মুখ। আর তার পরেই ঘটে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা।

সামনে উপস্থিত ডাক্তার ও নার্সরা পরম বিস্ময়ের সঙ্গে দেখেন, শিশুটির আকুল কান্নার শব্দে ধীরে ধীরে হৃদস্পন্দন ফিরে আসছে জুলিয়ার দেহে। একটু পরে চোখ খোলেন তিনি। ফিরে আসেন জীবনের পারাবারে। শিশুটির কান্না ততক্ষণে থেমে গিয়েছে।

কিন্তু কী ভাবে ঘটল এমন পরম বিস্ময়কর ঘটনা? হাসপাতালের গাইনোকলরজি বিভাগের প্রধান ডাক্তার পিটার অরল্যান্ডো জানান, ‘প্রসবকালীন শক এবং যন্ত্রণা জুলিয়ার হৃদস্পন্দন কয়েক ঘন্টার জন্য স্তব্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু তাঁর মস্তিস্কের মৃত্যু হয়নি। সন্তানের কান্না সেই মস্তিস্কেই ক্রিয়া করেছে। সচল করে দিয়েছে মহিলার হৃদপিণ্ড।

আর বেশিক্ষণ তাঁর হৃদপিণ্ড স্তব্ধ থাকলে তাঁকে আর বাঁচিয়ে তোলা যেত না।’ ভালবাসার আহ্বান যে সত্যিই অসাধ্য সাধন করতে পারে, প্রাণ সঞ্চার করতে পারে মৃত মানুষের দেহে, সেটাই যেন চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করল এই ঘটনা।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd