ডেস্ক রিপোর্ট : ২৫ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাব এর ভি আইপিলাউঞ্জে গ্রামীণ জীবন যাত্রার স্থায়িত্ব শীল উন্নয়নের জন্য প্রচারা ভিযান -সিএসআরএল ও ঢাকা স্কুল অবইকোনোমিকস – ডিএসইএর যৌথ আয়োজনে‘ পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে বাজেট ২০১৯-২০ এরপর্যালোচনা’ বিষয়ক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সিএসআরএলএর সভাপতি ও ডিএসইএর চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং সঞ্চালনা করেন সিএসআরএলএর সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক মুক্তা।
সেমিনারে প্রধানঅতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এস এম মনজুরুল হান্নান খান, কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ। সেমিনারেপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা স্কুল অবইকোনমিকস এর ড. এ কে এ মনজরুল ইসলাম এবং সিএস আর এলএর প্রদীপ কুমার রায়।
ড. খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, টেকসই উন্নয়নের তিন স্তম্ভ – পরিবেশ, অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নের জন্য স্থানীয় চাহিদার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাজেট বরাদ্দ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সঠিকভাবে বাজেট বরাদ্দব্যয় ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকারকে যুক্ত করা দরকার।
এস এম জগলুল হায়দার এমপি বলেন, জলবায়ু ও পরিবেশ বাজেট বিষয়ে যদি কোন সীমাবদ্ধতা থাকে, তবে এখনও সময় আছে; সেটি আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর তুলে ধরতে পারবো।
বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এসএম মনজুরুল হান্নান খান বলেন, উপকুলীয় এলাকায় বেঁড়ি বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার ইতিমধ্যে ১০০ বছরের ডেল্টাপ্লান করেছে, সেখানে মডেলিং করে বেঁড়ি বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সেমিনারের মুল প্রবন্ধে বক্তারা বলেন, বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়া অপরাপর পরিবেশগত বিষয় যথাযথভাবে উল্লেখ করে বরাদ্দ প্রদান করা হয়নি। বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তনের বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন এলাকার অভিযোজন অগ্রাধিকার বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন। সেই সাথে গৃহিত জলবায় ুপ্রকল্পগুলোর তথ্য স্থানীয় জন প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারকে অবহিত করে জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকান্ডে স্থানীয়সরকারকে যুক্ত করাপ্রয়োজন।
Leave a Reply