সাতক্ষীরা নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে হামলা করেছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। একটি মহল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব দখল করার ষড়যন্ত্র করছে। তাদেরকে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করা হবে। জেলা আওয়ামী লীগসহ সকল প্রগতিশীল দল এক ও অভিন্ন পথে প্রতিরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।
শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহিদ স.ম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত চার ঘন্টার মত বিনিময় সভায় এসব কথা তুলে ধরেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন, নাগরিক সমাজ, এনজিও ও সাংবাদিক প্রতিনিধিগন। স্পষ্ট ভাষায় তারা বলেন এসবের বিচারের দায়িত্ব আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দলীয় নেতারা সাক্ষাত করে শান্ত সাতক্ষীরাকে যাদের ইন্ধনে অশান্ত করে তোলা হচ্ছে তাদের চিহ্ণিত করে অভিযোগ দিতে হবে।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার তিনদিনের মাথায় প্রেসক্লাব ভবনে অনুষ্ঠিত বিশিষ্ট নাগরিক সমাবেশে আরও বলা হয় জেলা আওয়ামী লীগ এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করতে পারে। তারা প্রেসক্লাব দখল চেষ্টাকারী দুস্কৃতিকারীদের এখনও কেনো আইনের আওতায় আনা হয়নি তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন হামলাকারীদের রক্ষা করার যেকোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হবে।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ বলেন আমি প্রেসক্লাবে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি করছি। একই সাথে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাচ্ছি। জড়িতদের শাস্তি দাবি করে তিনি আরও বলেন আমরা একাত্তরে মিত্র বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তা ছাড়া সাতক্ষীরাকে মুক্ত করেছি। ২০১৩ এর সহিংসতা প্রতিরোধ করেছি। ১৯৯৪ তে সাতক্ষীরায় গোলাম আযমের কর্মসূচি ভন্ডুল করে তাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। এবারও সাতক্ষীরার চার এমপিকে সাথে নিয়ে আমরা সব সমস্যা সমাধান করতে পারবো।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন প্রেসক্লাবে হামলা করে যারা রক্ত ঝরিয়েছে তারা নিন্দনীয় অপরাধ করেছে। শাস্তি তাদের পেতেই হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন এতে আওয়ামী লীগ দলীয় কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে গঠনতান্ত্রিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি সাতক্ষীরার সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্য ও সমন্বয় সাধনের ওপর জোর দেন।
সুধি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সদ্য সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশাররফ হোসেন মশু, জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি ডা. আবুল কালাম বাবলা, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের এড. ফাহিমুল হক কিসলু, জাসদ এর ওবায়দুস সুলতান বাবলু, বাসদ নেতা এড. আজাদ হোসেন বেলাল, জেএসডির সুধাংশু শেখর সরকার, সাম্যবাদী দলের তরিকুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির আনোয়ার জাহিদ তপন, গণফোরমের আলি নুর খান বাবুল, বাংলাদেশ জাসদের ইদ্রিস আলি, বাসদের নিত্যানন্দ সরকার ও খগেন্দ্রনাথ ঘোষ, সিপিবির মসিউর রহমান পলাশ প্রমূখ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী।
Leave a Reply