ভোমরা প্রতিনিধি ঃ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের সঙ্গে উৎযাপিত পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনটি ছিল মাদক সেবীদের দখলে। পবিত্র ঈদ উৎসবের দিনে ভোমরা সীমান্ত জুড়ে ছিল ফেনসি ও মদ খোরদের অবাধ বিচরন। এক মাস সিয়াম সাধনার পর শওয়াল মাসে পবিত্র ঈদুল ফিতর উৎসবে ভোমরা বন্দরসহ সমগ্র সীমান্ত অঞ্চল ভাসছিল মাদকের ¯্রােতে। ভোমরা সীমান্তে ফেনসি ও মদখোরদের মটরসাইকেল এর বহর ঠেকাতে বিজিবি সদস্যরা নাজেহাল হয়ে পড়ে। বহিরাগত মাদক সেবীদের মিছিল ঠেকাতে বিজিবি সদস্যরা এলোপাতাড়ি লাঠি চার্জ করে। বিজিবির লাঠি চার্জে অনেক মাদক সেবী আহত হয়ে সীমান্ত এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। আবার অনেক মাদক সেবীকে সাময়িক শাস্তি হিসাবে পুকুরে নামিয়ে ডুব দিয়ে ছেড়ে দেয় বিজিবি জোয়ানরা। এর পরেও লজ্জাহীন ভাবে ফেনসি ও মদ পানের উদ্দেশ্যে ওই সব বখাটে উচ্ছৃঙ্খল মাদক সেবীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে মাদক পানের নেশায় সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করছে ভারত ভুখ-ে। অভিযোগ উঠেছে, মাথা পিছু ১০০ টাকা ঘুষ দিলে নাকি অনায়াসে ভারত ভুখ-ে যেয়ে ফেনসি ও মদপান করে পুনঃরায় নির্ভয়ে দেশে ফেরা যায়। এমন ঘটনা ঘটছে অহরহ। অভিযোগে আরো জানা যায়, একদিকে সীমান্ত রক্ষিদের মাদক বিরোধী অভিযান অন্যদিকে নগদ ১০০ টাকা উৎকোচ নিয়ে মাদক পানে ভারতে প্রেরণ। সুতরাং এই দ্বিমুখী শাসন-সোহাগের দোলাচলে ভোমরা সীমান্তে চলছে মাদক সেবীদের নৈরাজ্য। পাখি ডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ভোমরা ও লক্ষ্মীদাঁড়ী সীমান্ত থাকে মাদক সেবীদের নিজস্ব দখলে। দেখলে মনে হয়, প্রশাসন যন্ত্র যেনো বিকল হয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই জীবনঘাতী মাদকের আগ্রাসী ছোঁবলে আক্রান্ত মাদক সেবীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ করা কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেই। বহিরাগত মাদক সেবীদের দৌরাত্বে ভোমরা সীমান্তবাসী আতংকিত হয়ে পড়ছে। যেকোন মুহুর্তে এইসব মাদক সেবীরা নেশার পয়সা সংগ্রহ করতে সীমান্ত অঞ্চলে চুরি, সিনতাই, রাহাজানী ও জীবননাশসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়ে এক দুর্বিসহ ঘটনা সৃষ্টি করতে পারে এমন আশংকা করছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট সুধি সমাজ। বিষয়টি বিজিবির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক খতিয়ে দেখে মাদকের আগ্রসী ছোঁবল থেকে এলাকার যুবসমাজকে রক্ষার জন্য বন্দর সংশ্লিষ্ট সুধিমহল জোর দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply