আশাশুনিতে পুলিশী অভিযানে গ্রেফতার-৪
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানার ৪ পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের রোববার আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান (বিপিএম) এর দিক নির্দেশনায় আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুস সালাম এর নেতৃত্বে এএসআই দেবাশীষ মন্ডল অভিযান চালিয়ে সিআর-১২৭/১৮ (ওয়ারেন্ট) আসামী বসুখালী গ্রামের আজগর গাজীর পুত্র মিলন গাজীকে গ্রেফতার কারেন। এএসআই জাকির হোসেন সিআর-২২৯/১৮ (ওয়ারেন্ট) আসামী গাজীপুর গ্রামের গফুর গাজীর পুত্র নুরুজ্জামানকে, এসআই মোহাম্মদ মামুনুর রহমান সিআর-২৫০/১৮ (ওয়ারেন্ট) আসামী উত্তর একসরা গ্রামের ইমান আলি গাজীর পুত্র রমজানকে এবং এএসআই হারুনুর রশিদ পৃথক অভিযানে জিআর-১৯৩/১৮ (ওয়ারেন্ট) আসামী প্রতাপনগর গ্রামের মৃত মাহাবুদ্দিন গাজীর পুত্র আসলাম গাজীকে গ্রেফতার করেন।
আশাশুনিতে দুই গৃহবধূর আত্মহত্যা
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনিতে একই দিনে ২ গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। রোববার সকালে উপজেলার শ্রীউলা ও সদর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আশাশুনি সদরের সোদকনা গ্রামের বাবু গাজীর পুত্র আলমগীর হোসেন কেনা কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী গ্রামে ব্যবসায়িক কাজে যাতয়াতের সুযোগে পরস্ত্রী নুরুন্নাহার (৩৫) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে ৫/৬ মাস পূর্বে নুরুন্নাহার তার দু’ সন্তান ফেলে রেখে কেনার সাথে (৩য় স্বামী হিসাবে) বিয়ে করে। কেনা দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে তাকে ঘরে তোলে। এনিয়ে সংসারে গোলযোগ ছিল। শেষমেষ ১ম স্ত্রী নমনীয় হলে তারা একমাস হলো একসাথে ঘর সংসার করছিল। রোববার সকালে স্বামী বাড়ি থেকে ব্যবসার মালামাল কিনতে চলে যায়। এসময় নুরুন্নাহার বাড়ির অন্য এক ঘরে গিয়ে সকালে সাড়ে ৯ টার দিকে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস আটকে আত্মহত্যা করে। এসআই খবির উদ্দিন সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেন। অপরদিকে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের পুঁইজালা গ্রামের শ্যামল মিস্ত্রীর স্ত্রী সরস্বতি মিস্ত্রী (২৫) রোববার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে নিজ গৃহে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। পরকীয়াসহ বিভিন্ন কারনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এনিয়ে রোববার সকালে স্বামী তাকে বেদম মারপিট করে ঘরে রেখে চলে যায়। এসময় সে রাগ ও অভিমানে বিষপান করে বলে স্থানীয়রা জানান। এসআই মামুনুর রশিদ ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরন করেন।
আশাশুনিতে জুয়ার আসর থেকে জুয়াড়ী আটকের পর দফারফা
আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের পাইথালী গ্রামে জুয়ার আসরে হানাদিয়ে ৩ জুয়াড়ীকে আটকের পরে জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে দফারফা হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সকালে কুঁন্দুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কুঁন্দুড়িয়া গ্রামে ময়না মাস্টারের বাড়ির পাশে বাঁশ বাগানে এলাকার জুয়াড়ীরা নিয়মিত জুয়ার আসর বসিয়ে থাকে। তাদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করলেও বন্ধ হয়নি। এলাকার প্রতিবাদী কামরুল, হাবিবুর, আজমির, মুন্না, আব্দুল্লাহ, মান্না, সবুজ, আলামিন, রাসেল রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে একসাথে জুয়ার আসরে হানা দেয়। এসময় আরিফুল নামে এক জুয়াড়ী টাকা পয়সা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে গেলেও অপর ৩ জনকে নগদ ১৫০০ টাকা, দু’জোড়া তাসসহ আটক করা হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন, পুলিশিং কমিটির সভাপতি বিজন কুমার ঘটনাস্থানে পৌছে তাদেরকে তাদের অফিসে নিয়ে কানধরে উঠবসসহ বিভিন্ন শাস্তি দিয়ে দফারফা করে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেনের সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান, ছেলেগুলো তাস খেলা করে। কয়েকবার নিষেধ করা হলেও তারা শোনেনি। তাস খেলে বাড়ি ফিরে তারা স্ত্রী-সন্তানদের সাথে দূ-র্ব্যবহার করে থাকে। তাদেরকে আটকের পর মারধর করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply