নিজস্ব প্রতিনিধি :
বাবার মৃত্যুর পর আপন চাচা নামের কলংক শাহাদাত আমার মা এমনকি আমাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। পেছনে তার ছিল সম্পদের লোভ। সেই কাকা আমার নানার কাছ থেকে পাওয়া জমি গ্রাস করতে উঠে পড়ে লেগেছে। আর এতে বাধা দিতে গিয়ে কাকার সন্ত্রাসী হামলায় আমার মার আঙ্গুল কাটা গেছে। তিনি আহত হন। এরপরও তালা থানা এ বিষয়ে মামলা নেয়নি।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা জানান তালার মাগুরা ইউনিয়নের চরগ্রাম গ্রামের সুজায়েত আলির মেয়ে সোহেলি ইমা চাঁদনি। এ সময় তার সাথে ছিলেন তার চাচা মোস্তফা পাড়, সোহরাব পাড়, চাচাতো ভাই বাবলু শেখ ও তার স্বামী সাইফুল্লাহ শেখ।
সংবাদ সম্মেলনে সোহেলী ইমা চাঁদনি বলেন তার বাবা সুজায়েত আলি আট বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর আমাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে আমার আপন চাচা শাহাদাত হোসেন শেখ আমার মা শিরিনা বেগমকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এমনকি সে আমাকেও উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে মা শিরিনা শহাদাতের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধ্য হন। সেই পক্ষে এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয় । বিয়ের এক বছর পার না হতেই কাকা শাহাদাত আমার নানার কাছ থেকে আমার মায়ের প্রাপ্ত তিন বিঘা জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে মার কাছ থেকে একরকম জোর করেই সে জমি তার নিজের নামে লিখে নেয়। এর আগে সে আমাদের ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে। এমনকি ঘরে থাকা খাবার চাল আটকে দেয়। রান্নার চুলা ভেঙ্গে দেয় । ভাতের হাড়িতে মুরগির বিষ্টা ফেলে অত্যাচার করতে থাকে। চরিত্রহীন লম্পট শাহাদাত সব সময় জুয়াড়িদের ও মাদকখোরদের সাথে আড্ডা দেয় । সে নানা ধরনের অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েছে। তার দুই মেয়ে আমি ও ইমুর প্রতি কোনো দায়িত্ব পালন করে না। এসব বিষয় নিয়ে এক সালিশ বৈঠকে সে জানায় সে কারও ভরণ পোষন দিতে পারবেনা।
চাঁদনি জানান তখন তিনি তার মাকে নিয়ে অন্যত্র ঘর বেঁধে বসবাস শুরু করেন। অপরদিকে শাহাদাত জানিয়ে দেয় শিরিনা তাকে তালাক দিলে তথন সে জমিতে চাঁদনি যেতে পারবে। তিনি জানান শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতক জমিতে ধান চাষ করেন চাঁদনি। তাতেও বাধা দেয় শাহাদাত। এমনকি সে পুলিশকে ম্যানেজ করে বাধার সৃষ্টি করতে থাকে। চাঁদনি জানান তারপরও তিনি জমিতে ধান কাটতে গেলে লম্পট শাহাদাত তার লোকজন নিয়ে বাধা দেয়। এমনকি আমাদের ওপর হামলা করে।
গত ৩০ এপ্রিল ধান কাটার সময় শাহাদাত ও তার লাঠিয়াল বাহিনী হামলা করে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে। ধারালো দা দিয়ে কোপ মারলে আমার মা শিরিনারএকটি আঙ্গুল কেটে পড়ে যায়। স্থানীয় ভ্যান চালক রাজ্জাক সেই কর্তিত আঙ্গুলটি নিয়ে তালা থানায় জমা দেয়। পরে এ বিষয়ে তালা থানায় একটি মামলা দিলেও পুলিশ তা রেকর্ড করেনি। এমন কি পুলিশ শাহাদাতকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। আর আমার মা শিরিনা এখনও সাতক্ষীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চাঁদনি বলেন আমরা লম্পট শাহাদাতের শাস্তি চাই। তালা থানায় এ ব্যাপারে মামলা হওয়া চাই। এসব বিষয়ে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেন।
Leave a Reply