নিজস্ব প্রতিনিধি :
পাটকেলঘাটার সরুলিয়ায় অবৈধভাবে গায়ের জোরে সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে প্রখ্যাত অভিনেতা দিনেশ ঘোষকে মারপিট ও খুন জখমের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে জনার্কীন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাটকেলঘাটার সরুলিয়া ঘোষপাড়ার মৃত বলাই কৃষ্ণ ঘোষের পুত্র দিনেশ চন্দ্র ঘোষ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন একসময়ে দুই বাংলার প্রখ্যাত অভিনেতা এবং সাতক্ষীরায় আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালিন কর্মী ছিলাম। আমি এবং আমার ছোট ভাই প্রশান্ত কুমার ঘোষ আমার পিতার উত্তারাধিকারী। আমাদের আপোন চাচাতো ভাই মৃত নগেন্দ্র নাথ ঘোষের পুত্র কল্যাণ ঘোষ আমাদের দুইভায়ের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এর জের ধরে কল্যাণ ঘোষ আমার ইতোপূর্বে ছোট ভাই প্রশান্তকে মারপিট করে এবং মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করে। আমার ছোট ভাই ওই চিন্তায় প্যালাইজডে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য আছে। ছোট ভাই অসুস্থ্য, ভাইপোরা ঢাকা প্রবাসী সেকারণে আমাদের সম্পত্তি দখলের জন্য একমাত্র বাধা আমি। যে কারণে কল্যাণ আমাকে সরানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। সরুলিয়া মৌজার আর এস ২৩৩ দাগে ৬ শতাংশ জমির মাথায় কল্যাণ ঘোষের মৎস্য পুকুর আছে। গত ২৬/০৪/২০১৯ তারিখ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওই পুকুরের পাশের রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম। এসময় পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা কল্যাণ বাঁশের লাঠি দিয়ে পিছন দিক থেকে আমাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। সেসময় ডাক চিৎকার করলেও আশে পাশে কেউ না আসায় জীবন বাঁচাতে দৌড়ে জীবনে রক্ষা পেলেও লাঠির আঘাতে আমার দুইপা মারাত্মক ফোলা জখম হয়। পরবর্তীতে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি। তিনি ডাঃ মধুসূদন মন্ডলের কাছে পাঠান। তিনি আমার পায়ের অবস্থা খারাপ দেখে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শরিফুল ইসলাম ছাড়পত্রে উল্লেখ করেন আমি বর্তমানে গুরুতর শারিরীর অসুস্থ্যতায় ভুগছি। এঘটনায় আমি পাটকেলঘাটায় অভিযোগ দায়ের করি। থানা পুলিশ বিষয়টি জিডি করে তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি প্রার্থনা করলে আদালত বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তের অনুমতি দেন।
তিনি আরো বলেন ওই কল্যাণ ঘোষ স্থানীয় আওয়ামীলীগের ছাত্রছায়ায় এবং তার ভাই সচিব তপন কুমার ঘোষ ও এগ্রিকালচার অফিসার মোহন কুমার ঘোষের সহযোগিতায় অত্র এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে। ইচ্ছামত মানুষকে মারপিট ও হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। কল্যাণ ঘোষ সাতক্ষীরা ছফরুননেছা মহিলা কলেজের শিক্ষক। কিন্তু কল্যাণ শিক্ষক নামের কলঙ্ক। কোন শিক্ষক কি সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে পারে, অন্যায়ভাবে জমি দখলের উদ্দেশ্যে চাচাতো বড় ভাইকে মারপিট করতে পারে। এধরনের সন্ত্রাসী শিক্ষককে কলেজে শিক্ষকের দায়িত্বে স্থান দেওয়া উচিত নয় বলে আমি মনে করি।
এব্যাপারে সন্ত্রাসী কল্যাণ ঘোষের হাত থেকে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা ও মারপিটের ঘটনায় তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার, পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Leave a Reply