সংবাদ সম্মেলন: শ্যামনগরের যুবলীগের নেতা কতৃক চুরির মামলার ভয় দেখিয়ে ভ্যানশ্রমিককে নির্যাতন


নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
তোর নামে চুরির মামলা হয়েছে। থানা থেকে তোর নাম কেটে দেবো। আমাকে ২০ হাজার টাকা দে। এ কথায় সম্মত হয়নি ভ্যান শ্রমিক আকরাম হোসেন। এ জন্য তাকে নৃশংসভাবে মারপিট করেছে শ্যামনগরের আটুলিয়া ইউনিয়নের যোগিন্দ্রনগর এলাকার যুবলীগ সভাপতি অহিদুল ইসলাম।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বয়ারসিং গ্রামের আকরাম হোসেনের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন। আকরাম এখন সাতক্ষীরা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
ফিরোজা বলেন আমাদের প্রতিবেশী সুমনদের বাড়িতে দিনের বেলায় চুরি হয়েছে শুনেছি। চোরেরা সোনার গয়না ও টাকা পয়সাও চুরি করে নিয়ে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা অহিদুল সরব হয়ে ওঠে। গত ৭ মে অহিদুল আমার স্বামীকে কথা আছে বলে ঘের থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে বলে তুই সুমনের বাড়িতে চুরি করেছিস। তোকে পুলিশে দেবো। থানায় তোর বিরুদ্ধে নালিশ গেছে। আমি ঠেকিয়ে দেবো। তবে আমাকে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। ফিরোজা বলেন আমার স্বামী বলেছেন আমি ভ্যানচালক। কোথায় পাবো ২০ হাজার টাকা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অহিদুল ও তার ভাড়াটে বাহিনী আকরামকে লোহার রড , গরাণের লাঠি ও বঁশের লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে। তিনি জানান এঘটনার পর আকরামকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জানান তার শাশুড়ি লায়লা বেগম বাদি হয়ে শ্যামনগর থানায় ৬ জনের নামে একটি মামলা করেন। পুলিশ একজন আসামিকে গ্রেফতার করলেও প্রধান আসামি অহিদুলকে ধরতে পারেনি।
তিনি বলেন আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। মামালা না তুললে আমাদের আরও ক্ষতি করবে বলেও জানিয়েছে। আসামি মোকাররমবিল্লাহ হাসপাতালে এসে হুমকি দিয়ে গেছে । বলেছে মামলা না তুললে খবর আছে।
ফিরোজা বলেন আমরা খুব গরিব ও অসহায়। আমাদের সাধ্য নেই অহিদুলের মতো সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া । তিনি এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। একই সাথে অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারেরও দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আকরামের ভাই আলতাফ হোসেন, তার স্ত্রী রেহানা খাতুন ও তাদের স্বজন রেজাউল ইসলাম।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *