বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে ১২টি ইউনিয়নে ২৮৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৪ সহস্রাধিক মানুষকে ৩ মে সকাল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার জনগণকে অঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ, গর্ভবতী মহিলা, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রাণান্তর চেষ্টা করা হচ্ছে। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুজন সরকার জানান, ১২টি ইউনিয়নে ১৫৫টি সাইক্লোন শেল্টার সহ স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা মোট ২৮৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪ সহস্রাধিক মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। ১২টি ইউনিয়নে ১২টি মেডিকেল টিম এবং উপজেলায় কর্মরত সকল স্বেচ্ছা সেবী সংগঠন দুর্যোগ মোকাবেলায় সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে। ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের সহযোগিতায় উপূকুলীয় এলাকার জনগণকে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে জলযান ও মিনি ট্রাক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারী ভাবে সকল আশ্রয় কেন্দ্র ১০টন চাউল, ৪০মন চিড়া, ২০মন মুড়ি, ১০মন চিনি ও রান্নার আনুষঙ্গিক জিনিষপত্র সহ নগদ ২লক্ষ টাকা সরবরাহ করা হয়েছে। উপজেলায় কন্ট্রোল বুথ খোলা হয়েছে মোবাইল নং- ০১৭০০-৭১৭০২৪ যার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতির নজরদারী রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply