নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ঘূর্ণিঝড় ফণি মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে সাতক্ষীরায় প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে উক্ত প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল এসময় বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণি মোকাবেলায় জেলায় ১৩৭টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ১১৬ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে লোকজন উঠতে শুরু করেছে। জেলায় এখনও ৭ নং সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। জেলার তিনটি ঝুঁকিপূর্ন উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জে সবধরনের প্রস্তুতি নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। অপর চারটি উপজেলায়ও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকার জেলে-বাওয়ালীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উপকুলীয় এলাকায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার, শুকনা খাবার মজুদ রাখা, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, ওষুধের পর্যাপ্ততা নিশ্চিতকরণসহ দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতি নিশ্চিত করার কথা জানানো হয়। ইতিমধ্যে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার অফিসে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এসব উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সতর্ক সংকেত হিসাবে লাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। জেলায় দুর্যোগ মোকাবেলায় ১২শ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩১৬ মেট্রিক টন চাল, ৬ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা, ১১৭ বান টিন, গগৃণ নির্মাণে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি মজুদ আছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়ার পর্যন্ত জেলার সকল সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্ম এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে।
প্রেসব্রিফিং এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী আফম রুহুল হক এমপি, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী প্রমুখ।
Leave a Reply