1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন
৭ বৈশাখ, ১৪৩২
Latest Posts
📰সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন📰ধরা’র আয়োজনে “হাওর অঞ্চলে বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনা” বিষয়ক আলোচনা সভা📰আশাশুনি সরকারি কলেজে ৬  শিক্ষককে এডহক নিয়োগ📰রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা📰মাদকসহ বিএনপি নেতার স্ত্রী আটক📰ফলোআপ নিউজ তালায় সেচপাম্পের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে জীবন বিলকিস বেগমের!📰কুল্যায় ফিলিন্তিনদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ📰আনুলিয়ায় একশত পরিবারের  মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ📰আশাশুনির খাজরা হাট বাজারের  ইজারা গ্রহিতার সাব ইজারা হস্তান্তর📰সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির নব-গঠিত কমিটির অভিষেক

ইউপি নির্বাচনে বিরোধিতার জের ৩ বছর মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে চলে গেলেন তালার গৃহবধূ নমিতা ॥ আইনি জটিলতায় ২ দিন ধরে বাড়িতেই পড়ে আছে লাশ

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ১২ মে, ২০১৯
  • ২৪৫ সংবাদটি পড়া হয়েছে


নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
ইউপি নির্বাচনে বিরোধীতার জের হিসেবে শ্লীলতাহানি ও মারপিটের ঘটনায় গুরুতর আহত সাতক্ষীরা তালার মেশারডাঙ্গা এলাকার কার্ত্তিক ব্যানার্জির স্ত্রী নমিতা ব্যানার্জি প্রায় ৩ বছর চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা গেছে। তবে মামলা জটিলতায় ময়নাতদন্ত ও সৎকার ছাড়াই শুক্রবার থেকে বাড়িতেই তার লাশটি পড়ে রয়েছে। গত ৩ বছরে মামলা খড়গের পাশাপাশি তার চিকিৎসায় নি:স্বপ্রায় পরিবারটি অন্তিম সময়ে অন্তত তার লাশের সৎকারের অনুমতি ভীক্ষা করেছেন,স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। তবে আইনী জটিলতায় লাশের সৎকারে অপেক্ষা করতে হবে আজ রবিবার আদালতের অনুমতি নেয়ার সময় পর্যন্ত।
অভিযোগে জানাগেছে,২০১৬ সালের অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ১ নং মেশার ডাঙ্গা ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করেছিলেন কুলপোতা গ্রামের মৃত করুনাময় সানার ছেলে নিমাই পদ সানা। নির্বাচনে সেবার তিনি বিজয়ী হলেও মেশার ডাঙ্গার মৃত প্রফুল্ল্য বানার্জির ছেলে কার্ত্তিকসহ পরিবারের অন্যান্যরা অপর প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিল। বিপত্তিটা সেখানেই। নির্বাচনের পরের দিন ২৩ মার্চ দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে নিমাই সানার নেতৃত্বে তার ভাই শিব পদসহ সত্যজিৎ মন্ডল,অভিজিৎ মন্ডল,প্রদীপ সরকার,কামনাশীষ মন্ডল,সুভাশীষ সরকার,বিশ্বদেব ব্যানার্জিসহ অন্তত ৩৫/৪০ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল দা,শাবল,কুড়াল ও লাঠি সোটা নিয়ে বাড়ির ঘেরা-ড়ো ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। কার্ত্তিককে নাপেয়ে তার স্ত্রী নমিতা ব্যানার্জি(৪০) কে শাবল দিয়ে পিটিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। এসময় তারা মধ্যযুগীয় স্টাইলে নমিতার পরনের শাড়ী-কাপড় ছিড়ে মাটিতে ফেলে পাড়িয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় তার আতœচিৎকারে কাত্তিকের ভাই আদিত্য ব্যানার্জি এসে প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তারা তাকে ও পরে নমিতার মেয়ে মুক্তি ব্যানর্জি(১৫) ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের রক্ষার চেষ্টা করলে তারা তাকেও মারপিট ও শ্লীলতাহানি ঘটায়। একপর্যায়ে দূবৃত্তরা বাড়িতে লুটপাট শুরু করে। এসময় তারা বাড়ি ঘর ভাংচুর করে প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন,মুক্তির গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন,ঘরের ভেতর থাকা ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট কওে নেয়। এসময় তাদের আতœচিৎকারে প্রতিবেশী স্বপন কুমার সরকার,ধিমান ব্যার্জি,ষষ্ঠী রাণী ব্যানার্জিসহ অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে তারা তাদেও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে তালা ও পরে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঘটনায় পরের দিন ২৪ মার্চ কার্ত্তিকের ভাই আদিত্য ব্যানার্জি বাদী হয়ে নিমাই পদ সানাকে প্রধান করে ২০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত পরিচয় আরো ১৫/২০ জনের নামে তালা থানায় একটি মামলা করেন। যার নং-১২। ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৫৪/৪২৭/৩৭৯ ও ৫০৬। মামলায় পুলিশ আসামীদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করে।
এদিকে আহত নমিতার অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,৪ দফায় ভারতে ও সর্বশেষ ভারত থেকে এনে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সর্বশেষ ৯ মে তাকে সেখান থেকে বেঁচে থাকার সকল আশা ছেড়ে দেওয়ার পর মেশার ডাঙ্গা বাড়ীতে নিলে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
সর্বশেষ মামলা জটিলতায় এখন পর্যন্ত মৃতের লাশ তাদের বাড়ীতেই পড়ে রয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত কিংবা সৎকারের ন্যুনতম অনুমতি পর্যন্ত দিতে পারছেনা লোকাল প্রশাসন। আদালতের অনুমতি ছাড়া লাশের সৎকারের ব্যবস্থা করতে না পারায় প্রশাসনও বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে।
এব্যপারে এএসপি(সার্কেল) হুমায়ুন কবিরের নিকট জানতে চাইলে তিনি মামলা জটিলতা থাকায় আদালতের অনুমতিতে সৎকার কিংবা ময়না তদন্তের পরামর্শ দেন। অন্যদিকে শুধমাত্র নির্বাচনে সমর্থন না করায় মারপিট ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়ে উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে প্রায় ৩ বছরেরও বেশী সময় মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ কওে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুকেই আলীঙ্গনে বাধ্য হলেন। মৃতের পরিবারের দাবি,এবার আর জীবন ফিরে পাবার আকুতি নয়,অন্তত লাশটি সৎকারের অনুমতি চান তারা।
এব্যাপারে মামলার প্রধান আসামী স্থানীয় ইউপি সদস্য নিমাই পদ সানার নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের লাশের বাড়িতে যাওয়ার কৈফিয়ৎ তলব করে এলাকা থেকে বেরিয়ে যেতে হুমকি প্রদান করেন। সর্বশেষ নমিতার নিথর দেহটি শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেশার ডাঙ্গা বাড়িতেই পড়ে ছিল।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd