আব্দুল জলিল :সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শোভনালি ইউনিয়নের বালিয়াপুর ঘের দখলকারীদের হামলায় নিহত হয়েছেন ঘের মালিকের ভাতিজা মোনায়েম গাইন। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোনায়েম কালিগঞ্জ উপজেলার সাঁইহাটি গ্রামের শাহবাজ গাইনের ছেলে। তিনি ওই ঘেরের কর্মচারি।
স্থানীয়রা জানান মঙ্গলবার গভীর রাতে একদল সন্ত্রাসী ঘেরে ঢুকে মোনায়েম গাইনসহ কয়েকজন কমর্চারিকে বেঁধে রেখে মাছ লুট করে নেয়। পরে বুধবার প্রত্যুষে শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেনের নেতৃত্বে নজরুল ইসলামের মালিকানাধীন ওই ঘের দখল করতে যায় সন্ত্রাসীরা। তারা রামদা, বল্লম, চায়নিজ কুড়াল, লাঠিসোটা, লোহার রড ও বিস্ফোরক নিয়ে হামলা চালিয়ে ঘেরে তান্ডব চালাতে থাকে। খবর পেয়ে ঘের মালিক ইউপি সদস্য নজরুল তার শতাধিক সহযোগী নিয়ে তাতে বাধা দেন। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা কর্মচারি মোনায়েম গাইনের (৪০)মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে খুলনায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মারা যান তিনি।
নজরুল ইসলাম জানান শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেন, হারুনার রশীদ নাজমুস সাকিব লিটন, আক্তার হোসেন, শাহাদাত হোসেন, হাবিবুর রহমান হবি, আকবর আলি ও হাফিজুরসহ ২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল এই হামলা করে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেনকে প্রধান আসামি করে সাবেক মেম্বর হারুনার রশীদসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় মামলা করা হয়েছে। ঘের মালিক নজরুল ইসলাম জানান ১৫ বিঘার এই ঘেরটি তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি। এই ঘের অবৈধভাবে হারুনার রশীদকে দখল করিয়ে দেওয়ার নামে তার কাছ থেকে চেয়ারম্যান দুই লাখ টাকা ঘুষ আদায় করেন।
তবে এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেন জানান ‘ আমি এর সাথে জড়িত নই। ঘেরটি সাবেক ইউপি সদস্য হারুনার রশীদের । আজ নজরুলকে সেখান থেকে হটিয়ে দিয়ে হারুন ও তার লোকজন ঘেরটি দখল করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে’।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ মোনায়েম গাইন হত্যার ঘটনা স্বীকার করে বলেন এ ঘটনায় আশাশুনি থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply