স্টাফ রিপোর্টার :
২০২২ সালের মধ্যে দেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূলের লক্ষ্যে ব্যাপকহারে কুকুরের শরীরে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। আগামী ৭ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ( পাঁচদিন ব্যাপী ) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সব এলাকায় এই কার্যক্রম চলবে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় সাড়ে ৬ হাজার কুকুরের শরীরে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকা ( এমডিভি ) প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
কুকুরের শরীরে জলাতঙ্ক প্রতিশেধক টিকাদান উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এক অবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মো: আবুল হোসেন। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: রুহুল আমিন, সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: সমরেশ চন্দ্র দাস, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: জিল্লুর রহমান, সাতক্ষীরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ সফিক-উদ-দৌলা সাগর, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট মো: ফারুক হোসেন।
সভায় জানানো হয়, ব্যাপকহারে কুকুরের গায়ে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকাদান কার্যক্রমরে আওতায় এ পর্যন্ত দেশের ৬৩টি জেলা সদর, পৌরসভা ও ৯টি সিটি কর্পোরেশনে ১১ লাখ ৩৮ হাজার কুকুরকে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হয়েছে। তারা আরো জানায়, পাঁচ দিন ব্যাপী কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি টিমে ২ জন করে স্থানীয় কুকুর ধরা লোক, ১ জন দক্ষ কুকুর ধরা লোক, ১ জন টিকাদানকারী , ১ জন ডাটা কালেক্টর ও ১ জন ভ্যান ড্রাইভার নিয়োজিত থাকবে। তারা প্রতিটি স্থানে শতকরা ৭০ ভাগের অধিক পোষা ও বেওয়ারিশ কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকা প্রদান করবে। যা কুকুরের মধ্যে হার্ড ইমিনিটি তৈরী করবে এবং উক্ত এলাকাকে জলাতঙ্কের ঝুঁকি হ্রাস করবে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ২টা দল এবং সাতক্ষীরা পৌরসভায় ১০টি করে দল টিকাদান কর্মসুচিতে অংশগ্রহন করবে। প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত তারা কাজ করবে।
অবহিতকরন এই সভায় কুকুরের জলাতঙ্ক টিকাদান কর্মসূচি সফল করার ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে ।
Leave a Reply