1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰সাতক্ষীরা দেবহাটায় ছাত্রশিবিরের আন্ত:ওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত 📰আশাশুনির গাজীপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্য রোধের আবেদন📰প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন📰আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস📰অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২📰উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন📰‘উপকূলীয় নারীদের সফলতা ও জ্ঞানের কথা’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা সভা📰বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহ ব্যাপি বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন📰আশাশুনির বুধহাটা ক্লাস্টারের দুরাবস্থাগ্রস্থ ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাণের ঝুঁকির মধ্যে চলছে ক্লাশ 📰আশাশুনিতে উপজেলা শুমারী  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

পাউবি ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতায় ঝুঁকিতে কপোতাক্ষ পারের ২০ লাখ মানুষ

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৫৩৫ সংবাদটি পড়া হয়েছে


মো. মুশফিকুর রহমান রিজভি: পাউবি ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতায় ঝুঁকিতে কপোতাক্ষ পারের ২০ লাখ মানুষ ঝুঁকিতে কপোতাক্ষ অববাহিকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে ব্যর্থ হতে বসেছে সরকারের ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকার প্রকল্প। কপোতাক্ষ নদীতে ক্রসড্যাম স্থাপনে কালক্ষেপণ করায় নদীটি মরে যাওয়ার আশক্সক্ষা দেখা দিয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, কপোতক্ষ নদের নব্যতা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রবাহ তৈরী লক্ষ্যে সরকার ২০১১ সালে ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকার একটি প্রকল্পের অনুমদোন দেয়। নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি ও জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানকল্পে এ প্রকল্পের আওতায় মূলত দুটি কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। যার একটি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে টিআরএম বাস্তবায়ন এবং অন্যটি টিআরএম এলাকা থেকে উজান অংশের ৯০ কিলোমিটার নদী খনন।
টিআরএম (ঞরফধষ জরাবৎ গধহধমবসবহঃ) হচ্ছে জোয়ার-ভাটার নদী ব্যবস্থাপনা বা জোয়ারাধার ব্যবস্থাপনা। মূলত টিআরএম হলো বিলের মধ্যে জোয়ার ভাটা চালু করা। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে নদী তীরের বাঁধ কেটে সরাসরি বিলের মধ্যে জোয়ার প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়। ফলে নদীর সাথে-সাথে বিলের মধ্যেও রাতদিনে ২৪ ঘন্টায় ২ বার জোয়ার এবং ২ বার ভাটা সংঘটিত হবে। এতে জোয়ারের সাথে আগত পলি বিলের মধ্যে জমা হবে এবং ভাটার সময় পলিমুক্ত পানি নদীতে বের হয়ে যায়। এতে নদী বক্ষে পলি অবক্ষেপিত হতে পারবে না বরং নদী গভীর থেকে গভীরতর হবে এবং নিচু বিলে পলি জমে সারা বছর চাষাবাদের উপযোগী হবে।
পলি ব্যবস্থাপনার আওতায় খননকৃত নদী রক্ষার কৌশল হিসেবে টিআরএম চলাকালে মূল নদের উপর ক্রসড্যাম (বাঁধ) নির্মাণ করে শুষ্ক মৌসুমে জোয়ারবাহিত পলি উপরাংশে না ঢুকিয়ে টিআরএম বিলে প্রবেশ করানো হবে এবং বর্ষা মৌসুমের শুরুতে পুনরায় ক্রসড্যাম তুলে দেয়া হবে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার ২০১১ সালে ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকার একটি প্রকল্পের অনুমদোন দেয়। এবং উন্নয়ন বোর্ডকে প্রকল্পবাস্তায়রে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সরকারে এ পরিকল্পনা এবার ব্যর্থ হওয়ার আশংক্ষ্যা দেখা দিয়েছে। এবার বর্ষা মৌসুম আগত হলেও এখন পর্যন্ত ক্রসড্যাম নির্মাণ করাই হয় নি। অভিযোগ আছে পানি উন্নয়ন বোডের্র কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টিআরএম প্রযুক্তিকে ব্যার্থ প্রমাণ করতে ক্রসড্যাম নির্মাণে অবহেলা করছেন। অনেকের ধারণা, টিআরএম ব্যর্থ হলে কপোতাক্ষ নদী মারা যাবে আর এ মরা নদী ইজারা দেওয়া হবে মাছ চাষের জন্য। এমনটি হলে আবারও জলাবদ্ধ হয়ে পড়বে নদীর অববাহিকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রসড্যাম নির্মাণের মূল কাজ শুরুই হয়নি। আর নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা সংবাদকর্মীদের আগমনের খবর পেয়ে আগে থেকেই স্থান ত্যাগ করেন। তবে জানা গেছে, এবছর ক্রসড্যাম নির্মাণ কাজটি ‘অনুন্নয় রাজস্ব খাতের আওতায় পাখিমারা টিআরএম বিলের লিংক ক্যানেলের উজানে কপোতাক্ষ নদীতে অস্থায়ীভাবে ক্লোজার নির্মাণ ও অপসারণ কাজ’ নামে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে প্যাকেজ নং-‘ই-টেন্ডার জেএনডিআর-০১/ও টিএম/২০১৭-২০১৮’ ওয়ার্ক অর্ডার হয়। মেসার্স মাইশা ট্রেডার্স ৬৪ লাখ ২৬ হাজার ৬২ টাকার কাজটি প্রাপ্ত হন।
ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে ২ সপ্তাহ ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ক্লোজার সমাপ্ত করা এবং ২৫ জুন ১৩৫ দিনের মধ্যে অপসারণসহ কাজ সমাপ্তির নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ক্লোজার নির্মাণের সময় শেষ হয়ে আরো ১ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত ক্লোজার নির্মাণ করা হয়নি।
নির্ধারিত সময় পার হলেও এখনও পর্যন্ত কেন ক্লোজার নির্মাণ করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে এ কাজের সাব-কন্ট্রাক্টর তোজাম আলী বলেন, কিছু দিন আগেই আমরা ক্লোজার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেছিলাম। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ঝড়-বৃষ্টিতে ক্লোজার নির্মাণ কাজ শেষ করার আগেই সেটি নষ্ট হয়ে গেছে। এজন্য আবার প্রথম থেকে কাজ করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমরা এবারই প্রথম ক্লোজার নির্মাণ করছি। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেশি হওয়ায় কিনতে দেরি হয়েছে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হবে।
এদিকে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘উত্তরণ’র তথ্যমতে, পলিযুক্ত জোয়ারবাহিত প্রতি লিটার পানিতে প্রায় ৬০ গ্রাম পলি নদীতে অনুপ্রবেশ করছে। ইতোমধ্যে জোয়ারবাহিত আগত প্রচুর পলি নদী বক্ষে পতিত হয়ে নদীর তলদেশ অনেকাংশ ভরাট করে ফেলেছে। অন্যদিকে পানিতে পলির আধিক্যতায় এলাকাবাসীর আশংকা যে, এভাবে পলির অবক্ষেপন ঘটলে নদী এ বছরই মারা যাবে। ভয়াবহ এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতি দ্রুত ক্রসড্যাম সম্পন্ন করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে নদী তীর সংলগ্ন বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আরশাদ আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কেন সঠিক সময়ে ক্লোজার নির্মাণ করা হলো না আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট এর তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আমরা এখন আতংকে আছি আবার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় কিনা।
এ বিষয়ে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, আমরা ক্লোজার নির্মাণের স্থানটি ঘুরে দেখেছি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের ডেকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছি। মূলত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলাতির কারণে সঠিক সময়ে ক্লোজার নির্মাণ সম্ভব হয়নি। তবে আগামী জোয়ারের আগেই ক্লোজার নির্মাণ শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি।

: পাউবি ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতায় ঝুঁকিতে কপোতাক্ষ পারের ২০ লাখ মানুষ ঝুঁকিতে কপোতাক্ষ অববাহিকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে ব্যর্থ হতে বসেছে সরকারের ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকার প্রকল্প। কপোতাক্ষ নদীতে ক্রসড্যাম স্থাপনে কালক্ষেপণ করায় নদীটি মরে যাওয়ার আশক্সক্ষা দেখা দিয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, কপোতক্ষ নদের নব্যতা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রবাহ তৈরী লক্ষ্যে সরকার ২০১১ সালে ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকার একটি প্রকল্পের অনুমদোন দেয়। নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি ও জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানকল্পে এ প্রকল্পের আওতায় মূলত দুটি কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। যার একটি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলে টিআরএম বাস্তবায়ন এবং অন্যটি টিআরএম এলাকা থেকে উজান অংশের ৯০ কিলোমিটার নদী খনন।
টিআরএম (ঞরফধষ জরাবৎ গধহধমবসবহঃ) হচ্ছে জোয়ার-ভাটার নদী ব্যবস্থাপনা বা জোয়ারাধার ব্যবস্থাপনা। মূলত টিআরএম হলো বিলের মধ্যে জোয়ার ভাটা চালু করা। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে নদী তীরের বাঁধ কেটে সরাসরি বিলের মধ্যে জোয়ার প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়। ফলে নদীর সাথে-সাথে বিলের মধ্যেও রাতদিনে ২৪ ঘন্টায় ২ বার জোয়ার এবং ২ বার ভাটা সংঘটিত হবে। এতে জোয়ারের সাথে আগত পলি বিলের মধ্যে জমা হবে এবং ভাটার সময় পলিমুক্ত পানি নদীতে বের হয়ে যায়। এতে নদী বক্ষে পলি অবক্ষেপিত হতে পারবে না বরং নদী গভীর থেকে গভীরতর হবে এবং নিচু বিলে পলি জমে সারা বছর চাষাবাদের উপযোগী হবে।
পলি ব্যবস্থাপনার আওতায় খননকৃত নদী রক্ষার কৌশল হিসেবে টিআরএম চলাকালে মূল নদের উপর ক্রসড্যাম (বাঁধ) নির্মাণ করে শুষ্ক মৌসুমে জোয়ারবাহিত পলি উপরাংশে না ঢুকিয়ে টিআরএম বিলে প্রবেশ করানো হবে এবং বর্ষা মৌসুমের শুরুতে পুনরায় ক্রসড্যাম তুলে দেয়া হবে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার ২০১১ সালে ২৬১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকার একটি প্রকল্পের অনুমদোন দেয়। এবং উন্নয়ন বোর্ডকে প্রকল্পবাস্তায়রে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সরকারে এ পরিকল্পনা এবার ব্যর্থ হওয়ার আশংক্ষ্যা দেখা দিয়েছে। এবার বর্ষা মৌসুম আগত হলেও এখন পর্যন্ত ক্রসড্যাম নির্মাণ করাই হয় নি। অভিযোগ আছে পানি উন্নয়ন বোডের্র কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টিআরএম প্রযুক্তিকে ব্যার্থ প্রমাণ করতে ক্রসড্যাম নির্মাণে অবহেলা করছেন। অনেকের ধারণা, টিআরএম ব্যর্থ হলে কপোতাক্ষ নদী মারা যাবে আর এ মরা নদী ইজারা দেওয়া হবে মাছ চাষের জন্য। এমনটি হলে আবারও জলাবদ্ধ হয়ে পড়বে নদীর অববাহিকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রসড্যাম নির্মাণের মূল কাজ শুরুই হয়নি। আর নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা সংবাদকর্মীদের আগমনের খবর পেয়ে আগে থেকেই স্থান ত্যাগ করেন। তবে জানা গেছে, এবছর ক্রসড্যাম নির্মাণ কাজটি ‘অনুন্নয় রাজস্ব খাতের আওতায় পাখিমারা টিআরএম বিলের লিংক ক্যানেলের উজানে কপোতাক্ষ নদীতে অস্থায়ীভাবে ক্লোজার নির্মাণ ও অপসারণ কাজ’ নামে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে প্যাকেজ নং-‘ই-টেন্ডার জেএনডিআর-০১/ও টিএম/২০১৭-২০১৮’ ওয়ার্ক অর্ডার হয়। মেসার্স মাইশা ট্রেডার্স ৬৪ লাখ ২৬ হাজার ৬২ টাকার কাজটি প্রাপ্ত হন।
ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে ২ সপ্তাহ ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ক্লোজার সমাপ্ত করা এবং ২৫ জুন ১৩৫ দিনের মধ্যে অপসারণসহ কাজ সমাপ্তির নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ক্লোজার নির্মাণের সময় শেষ হয়ে আরো ১ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত ক্লোজার নির্মাণ করা হয়নি।
নির্ধারিত সময় পার হলেও এখনও পর্যন্ত কেন ক্লোজার নির্মাণ করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে এ কাজের সাব-কন্ট্রাক্টর তোজাম আলী বলেন, কিছু দিন আগেই আমরা ক্লোজার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করেছিলাম। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ঝড়-বৃষ্টিতে ক্লোজার নির্মাণ কাজ শেষ করার আগেই সেটি নষ্ট হয়ে গেছে। এজন্য আবার প্রথম থেকে কাজ করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমরা এবারই প্রথম ক্লোজার নির্মাণ করছি। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেশি হওয়ায় কিনতে দেরি হয়েছে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হবে।
এদিকে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘উত্তরণ’র তথ্যমতে, পলিযুক্ত জোয়ারবাহিত প্রতি লিটার পানিতে প্রায় ৬০ গ্রাম পলি নদীতে অনুপ্রবেশ করছে। ইতোমধ্যে জোয়ারবাহিত আগত প্রচুর পলি নদী বক্ষে পতিত হয়ে নদীর তলদেশ অনেকাংশ ভরাট করে ফেলেছে। অন্যদিকে পানিতে পলির আধিক্যতায় এলাকাবাসীর আশংকা যে, এভাবে পলির অবক্ষেপন ঘটলে নদী এ বছরই মারা যাবে। ভয়াবহ এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতি দ্রুত ক্রসড্যাম সম্পন্ন করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে নদী তীর সংলগ্ন বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আরশাদ আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কেন সঠিক সময়ে ক্লোজার নির্মাণ করা হলো না আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট এর তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আমরা এখন আতংকে আছি আবার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় কিনা।
এ বিষয়ে যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, আমরা ক্লোজার নির্মাণের স্থানটি ঘুরে দেখেছি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের ডেকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছি। মূলত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলাতির কারণে সঠিক সময়ে ক্লোজার নির্মাণ সম্ভব হয়নি। তবে আগামী জোয়ারের আগেই ক্লোজার নির্মাণ শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd