নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সদরের ১৩ লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা গ্রামে অবস্থিত পীর আলী শাহ্ ওরফে মিয়া সাহেবের পীরত্ব সম্পত্তি পৈত্রিক সম্পত্তি দাবী করায় আদালত কর্তৃক তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি আদালতে গড়ানোর পর শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে থানাঘাটাস্থ মিয়া সাহেবের দরগাহ শরীফে জেলা যুগ্ম দায়রা জজ-১ এর বিচারক মোখলেছুর রহমানের আদালত কর্তৃক নিয়োগকৃত তদন্ত টিমের কমিশনার এ্যাড. আনিছুল কাদির ময়নাসহ কমিটি এ তদন্ত সম্পন্ন করে। আদালতের দেওয়ানী ৪৪/২০১৮ মামলা সূত্রে জানা যায় যে, ঐ সম্পত্তি ১৯২৭ সালের ডি.এস এবং ১৫৭৪ খতিয়নে ৬ একর ৮৩ শতক এবং সন্তোষ রায় কর্তৃক দানকৃত ২৯ শতক জমির মালিক পীর আলী শাহ্ ওরফে মিয়া সাহেব। পীর কেবলার মৃত্যু পরবর্তী সময়ে মসজিদ, মাজার, থানাঘাটা বটতলায় পীর শাহাবুদ্দিন আরব, পীর কুতুব উদ্দিন আরব মাজার ও পুকুরসহ পীরত্ব সম্পত্তি রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ একটি সংরক্ষণ কমিটি গঠন করে। এভাবে চলতে থাকাকালীন গোপনে ঐ এলাকার আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি ঐ পীরত্ব সম্পত্তি তার নামে এস.এ রেকর্ড করে নেয়। কিন্তু সেই ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় নিজের সম্পত্তি বলে দাবী ও ভোগ দখল করিনি। আবুল হোসেনের মুত্যুর পর তার ওয়ারেশগণ কাজী আবু তোরাব, কাজী তোহা, কাজী তারেক ও কাজী তাহের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবী করলে ইসলামীক ফাউন্ডেশন কর্র্তৃক ঘোষিত দরগা শরীফ নির্মাণ সংস্কার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন কমিটি ও ধর্ম প্রাণ মুসলমান ও পীর সাহেবের ভক্তদের অনুরোধে ঐ সম্পত্তি রক্ষা করতে পীরত্ব সম্পত্তি দাবী করে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালতে বিবাদী পক্ষ আদালতে বলেছে যে, থানাঘাটায় কোন পীরের মাজার নেই, পুকুর নেই এবং পীরের নামে কোন সম্পত্তি নেই। তদন্তকালে পীর আলী শাহ ওরফে মিয়া সাহেব, থানাঘাটা বটতলায় পীর শাহাবুদ্দিন আরব, পীর কুতুব উদ্দিন আরব’র প্রাচীন মাজারের প্রমাণ মেলে। তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন কোর্ট কর্তৃক নিয়োগকৃত কমিশনার এ্যাড. আনিছুল কাদির ময়না, বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. তারক কুমার মিত্র, দরগা শরীফ নির্মাণ সংস্কার কমিটির সভাপতি সরদার নজরুল ইসলাম, এ্যাড. আকবর আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ¦ নুর আলী, সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম, দরগা শরীফ নির্মাণ সংস্কার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন, আশরাফ আলী, শ্রমিক নেতা শেখ রবিউল ইসলাম, শেখ আব্দুল কাদের, সুরত আলীসহ কমিটির নেতৃবৃন্দ, এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমান, পীর ভক্ত ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানান, এ সম্পত্তিটি পীরত্ব সম্পত্তি। কোন ব্যক্তি মালিকানার সম্পত্তি নয়। একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল এটিকে পৈত্রিক সম্পত্তি দাবী করে পীর সাহেবের নির্মিত মসজিদ ও মাজার ধ্বংশ করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এব্যাপারে মাজার, মসজিদ সংরক্ষণ কমিটি, ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও পীর ভক্তেরা পীরত্ব সম্পত্তিটি রক্ষার্থে রেকর্ড সংশোধন পূর্বক পীরত্ব সম্পত্তিটি রক্ষার জন্য প্রত্মতত্ব বিভাগ ও বিজ্ঞ আদালতের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসময় উপস্থিত শত শত মানুষ পীরের মাজার আছে এবং পীরত্ব সম্পত্তি বলে তদন্তকারী টিমকে জানায়।
Leave a Reply