আহ্ছানিয়া মিশনকে ব্যক্তি স্বার্থে ও ব্যবসায়ীক কাজে নয় ধর্মীয় কাজে মুসুল্লীদের স্বার্থে ব্যবহার করা হবে- জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল


নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন জামে মসজিদের নির্মাধীন ভবনের সম্প্রসারণ কাজ পরিদর্শণ এবং পবিত্র জুমআ’র নামাজ আদায় করলেন আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জুমআ’র নামাজ আদায় করেন, মসজিদ সম্প্রসারণ ও মসজিদের মুসুল্লীদের অভিযোগ শোনেন এবং মুসুল্লীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘পীর কেবলার মতাদর্শ অনুযায়ী আহ্ছানিয়া মিশন চলবে। আহ্ছানিয়া মিশনকে ব্যবসায়ীক কাজে নয় ধর্মীয় কাজে মুসুল্লীদের স্বার্থে ব্যবহার করা হবে এবং কারও ব্যক্তি স্বার্থে আহ্ছানিয়া মিশনকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবেনা। মসজিদের মুসুল্লীদের অসুবিধা হয় এমন কোন কাজ করতে দেওয়া হবেনা। মুসুল্লীদের স্বার্থে সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর মাহমুদ হাসান লাকি আমাকে আহ্ছানিয়া মিশন জামে মসজিদে জুমআ’র নামাজ আদায় করতে এবং মুসুল্লীদের অভিযোগের কথা শোনার জন্য আমন্ত্রন জানিয়ে ছিলেন। উপস্থিত মুসুল্লীদের কথা শুনে নামাজীদের স্বার্থে মসজিদের জায়গা বাড়িয়ে সম্প্রসারণের ব্যবস্থার আশ^াস প্রদান করেন এবং মসজিদের নির্মাধীন সকল কাজ বন্ধ ঘোষণা করেন। আহ্ছানিয়া মিশন জামে মসজিদের বর্তমান কমিটির সেক্রেটারীসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত না থাকায় কমিটির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় উপস্থিত মুসুল্লীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর মাহমুদ হাসান লাকি, আহ্ছানিয়া মিশন জামে মসজিদের সাবেক সেক্রেটারী শেখ আজিজুল হক, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার সম্পাদক মহসীন হোসেন বাবলু, সহ-সম্পাদক ও আহ্ছানিয়া মিশন জামে মসজিদের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রাসেল, আহ্ছানিয়া মিশন জামে মসজিদের সহ-সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মুকুল, এ্যাড. ফারুক হোসেন, এ্যাড. মোনায়েম খান চৌধুরী, সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মো. আবু সোয়েব এবেল, আহ্ছানিয়া মিশন জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম জিয়া প্রমুখ। মূল প্লান অনুযায়ী মিশন মসজিদের জায়গায় অফিস বানানো হয় নাই, লাইব্রেরির জায়গায় অফিস বানানো হয়েছে, দেয়ালের টাইলস না বসিয়ে মেঝের টাইলস বসানো হয়েছে, টাইলস যেটি দেখানো হয়েছিল সেটি আনা হয়নি, নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার এবং জানালার জন্য ঘন ঘন গ্রীল দেওয়া হয়েছে বলে মুসুল্লীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। জুমআ’র নামাজ আদায়ের পর জেলা প্রশাসক নির্মাধীন মসজিদটি ঘুরে ঘুরে দেখেন। এসময় এলাকার মুসুল্লীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসকের আশ^াসে মসজিদের মুসুল্লীদের মধ্যে উচ্ছাস লক্ষ্য করা গেছে। এসময় আগত মুসুল্লীরা জেলা প্রশাসকের জন্য মন খুলে দোয়া করেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *