আশাশুনির হিন্দু মহাজোট নেতার উপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক সুজন সানাকে হত্যার চেষ্টা, বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদ এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট শুক্রবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসুচি পালন করা হয়।
হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাড. দীনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠণের মহাসচিব অ্যাড.গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, সহ সভাপতি ডাঃ এম কে রায়, সহ সভাপতি সাধন মন্ডল, যুগ্ম মহাসচিব উত্তম কুমার দাস, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. উদয় বসাক, ডাঃ হেমন্ত দাস,মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. প্রতীভা বাগচী,ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক সুমন সরকার, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার,সহ-সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ,হিন্দু যুব মহাজোট এর প্রধান সমন্বয়কারী প্রশান্ত হালদার, সাংগঠণিক সম্পাদক প্রবীর সরদার,হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সাজেন কৃষ্ণ বল, সাধারণ সম্পাদক হরেকৃষ্ণ বারুরী প্রমূখ।
বক্তাগণ বলেন যশোরের অভয় নগরে উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী পরাজিত প্রার্থীর দ্বারা হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা,সুনামগঞ্জ জেলা ধর্মপাশা উপজেলাধীন ধর্মপাশা প্রধান শিক্ষক রামেন্দ্র চন্দ্র তালুকদারকে হত্যার
চেষ্টা,হবিগঞ্জে বিধবা নীলু সূত্রধরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, গোপালগঞ্জ মনিকা চেূৗধুরী হত্যা, চাদপুর, গোপালগঞ্জে, চট্টগ্রামের পটিয়ায়, কুমিল্লায়, বরিশালের বাকেরগঞ্জে, লক্ষীপুর জেলার রামগতিতে, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে ১৮টি হিন্দু পরিবারের জমি দখল, ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া নাবালিকা অপহরণ, নিলফামারী জেলার ডোমারে সন্ন্যাসী মন্দিরের জমি দখল, বিভিন্ন অজুহাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীঘরে হামলা,ভাংচুর, অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে কিন্তু আসামীদের গ্রেফতার করা হয় নাই।
বক্তাগণ বলেন, সাতক্ষীরার খাজরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিমের অত্যাচারে দিশেহারা হিন্দু সম্প্রদায়। জমি দখল, ঘের দখল, চাঁদাবাজী সহ সব ধরনের অপকর্মে ও অত্যাচারে জর্জরিত হিন্দু সম্প্রদায় দেশত্যাগে বাধ্য হচ্ছে। ২০১৭ সালে টুম্পা বিশ্বাস নামে এক যাত্রা শিল্পীকে প্রথমে ধর্মন্তারিত ও পরে তাকে গণধর্ষন করে হত্যা করে লাশ পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া মামলারও আসামী ছিলেন ডালিম চেয়ারম্যান। তার ক্ষমতার দাপট এতই যে তাকে একদিনের জন্যও জেল হাজতে পাঠাতে পারেনি প্রশাসন। সেই সময়ে এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করায় সুজন সানাকে বহুবার হত্যার করার চেষ্টা করে এই ডালিম চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা। সুজন সানা সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বহু মানুষ পালিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ মার্চ যুদ্ধাপরাধী মোজাহার সরদারের ছেলে ডালিম চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত সুজন সানার বাড়ীতে হামলা করে বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুরের পর তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ২৫ মার্চ ডালিমসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার পর তারাপ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও গত দু’ সপ্তাহেও তাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
বক্তাগণ অবিলম্বে ডালিম চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী বাহিনীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।
জানতে চাইলে আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বেলাল হোসেন শুক্রবার এ প্রতিবেদককে বলেন, তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *