শ্যামনগর ব্যুরো ঃ “সচেতন বনজীবি নিরাপদ সুন্দরবন”- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জ সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের আয়োজনে এবং আই ইউসিএন, কেএফ ডব্লু, সোনার বাংলা শপিং সেন্টার, ওয়ার্ল্ড টিম, আলওয়াল ও বেডস্-এর যৌথ সহযোগীতায় পশ্চিম বন বিভাগের বুড়িগোয়ালিনী বন অফিস সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্ত্বরে মধু আহরন উদ্বোধনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছরের ন্যায়ে গতকাল ১ এপ্রিল ১৮ চৈত্র সোমবার সকাল ১০ টায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বসিরুল-আল-মামুন এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন সংরক্ষন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- নব নির্বাচিত শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহসিন-উল-মুলক, সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জিএম মাছুদুল আলম, বেডস্ এর পক্ষে বক্তব্য রাখেন শান্তুনু বিশ্বাস, সোনার বাংলা শপিং সেন্টারের পক্ষে নাজমুস-সাদাত পালাশ, ওয়ার্ল্ড টিভির পক্ষে মঈনুল ইসলাম, যমুনা টিভির পক্ষে গাজী আহসান, গাজী সালাউদ্দীন বাপ্পি, বনজীবিদের পক্ষে ইকবাল হোসেন মন্টু। বনজীবিদের পক্ষে ইকবাল হোসেন মন্টু তার বক্তেব্যে বলেন- তারা মহাজনের নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা দাদন নিয়ে মাত্র ১৫ দিন মেয়াদে পাশ দিলে এবং মাথাপিছু ৫০ কেজি মধু আহরনের টার্গেট বেধে দিলে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। মহাজনের ঋণ শোধ করতে পারবে না, মহাজনের নিকট ঋণী হয়ে যাবে বলে মেয়াদ বাড়ানো ও টার্গেট বেধে না দেওয়ার দাবি জানায়। তিনি আরও দাবি জানাই, যদি পাশ গুলো দিয়ে তাদের একসাথে ছাড়া না হয় তাহলে যারা পিছে যাবে তারা মধু পাবে না বা কম পাবে। অতিথিগণের বক্তেব্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে মৌয়ালিদের দাবী মেনে নেওয়ার আহবান জানান। সভাপতি তার বক্তেব্যে পরবর্তীতে মৌয়ালীদের উর্থাপিত দাবী রক্ষা করার আহবান জানান। আলোচনা শেষে মধু সম্পর্কে রচনা প্রতিযোগী ছাত্র-ছাত্রীদের পুরষ্কার দেন অতিথিবৃন্দ। এরপর অতিথিগণ বন বিভাগের সহযোগীতায় মৌচাক থেকে মধু আহরনের দৃশ্য দেখার জন্য কলাগাছিয়া বনফাঁড়িতে যান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এসও বেল্লাল হোসেন।
Leave a Reply