নিজস্ব প্রতিনিধি :
সরকারের কাছ থেকে ৯৯ বছরের বন্দোবস্ত পাওয়া জমি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি পেয়েছেন কলারোয়ার নীলকন্ঠপুর গ্রামের মো. দিদার আলি। তিনি বলেন এ জমির অনুকূলে আমি নিয়মিতভাবে খাজনা পরিশোধ করে আসছি। এবারও খাজনা দিতে গেলে আমাকে ইউনিয়ন ভূমি অফিসার বলেছেন তোমার জমির বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে। এর খাজনা নেওয়া যাবে না। দিদার বলেন আমার কাছে সরকারের দেওয়া দলিল আছে, তারপরও হঠাৎ কেনো এবং কোন উদ্দেশ্যে আমাকে উচ্ছেদ করা হবে তা আমার বোধগম্য নয়। আমি এর প্রতিকার দাবি করছি।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন দিদার আলি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন নীলকন্ঠপুর মৌজার হাল ২৩৯১ দাগের আলোচিত ওই খাস জমি আমাদের পৈতৃক ছিল। সেখানে ২০০০ সাল থেকে বাড়িঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছি। এ জমির ডিএস রেকর্ডও ছিল আমাদের পূর্বপুরুষের নামে। তিনি বলেন খাস হয়ে যাওয়ায় আমি ওই জমি ২০০৫ ও ২০০৬ সালে সরকারের কাছ থেকে এক সনা ডিসিআর পাই। ২০১২ সালে আবেদনের প্রেক্ষিতে আমি ২০১৫ সাল থেকে ১৫ শতক জমি ৯৯ বছরের বন্দোবস্ত লাভ করি। সরকার আমার নামে বন্দোবস্ত দলিল করে দেয়। আমার ভাই হায়দার আলিও অবশিষ্ট ১৫ শতকের বন্দোবস্ত পেলেও তার স্ত্রী বিয়োগ হওয়ায় তিনি আর দলিল নিতে পারেন নি। লিখিত বক্তব্যে দিদার আলি বলেন গত ২৩ জানুয়ারি কলারোয়ার জয়নগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খাজনা দিতে গিয়ে জানতে পারি আমার ও আমার ভাইয়ের বসতভিটাসহ জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে রাস্তা ও ডোবা দেখিয়ে বন্দোবস্ত বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো নোটীশ জারি না করেই আমার বসতবাড়ি ভেঙ্চেুরে আমাদের উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা চলছে। এমন খবর পেয়ে তার মাথায় হাত ওঠে জানিয়ে দিদার বলেন উচ্ছেদ করা হলে আমাদের দুটি পরিবারের ১০ জন সদস্য কোথায় আশ্রয় পাবে’। আমাদের খোলা আকাশের নিচে বসত গাড়তে হবে বলে আক্ষেপ করেন তিনি। তিনি বলেন প্রকৃতপক্ষে জয়নগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসার ও কলারোয়া উপজেলা ভূমি অফিসার দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে আমাদের দুটি পরিবারকে উচ্ছেদ করে দিতে চায়। সরকার যেখানে ভূমিহীনদের সরকারি খাস জমিতে বসাতে চায় সেখানে তহশিলদার ও এসি ল্যান্ড আমাদের বন্দোবস্ত পাওয়া জমি থেকে উৎখাত করতে মাঠে নেমেছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দিদার আলি বলেন আমি আমার পরিবারবর্গ নিয়ে সরকারের খাস জমিতে থাকতে চাই। আমি এ ব্যাপারে তার সহায়তা কামনা করছি।
Leave a Reply