রায়ের আগেই জমি জবরদখলের অভিযোগ: তালায় প্রশাসনকে ভূল বুঝিয়ে একই জমির দ্বিতীয় দফায় বন্দোবস্ত গ্রহন ॥ উচ্চাদালতে আপীল


এপ্রিল ৩ ২০১৯

Spread the love


নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরা তালায় কলাপোতা এলাকায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে ভূল বুঝিয়ে প্রায় ১ বিঘা জমির বন্দোবস্ত নিয়ে অন্যের দখলীয় পুকুর থেকে মাছ মেরে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ভূক্তভোগী মহিউদ্দীন বিশ্বাস তালা থানায় উপজেলার ধল বাড়িয়ার মৃত একব্বর শেখের ছেলে আ: সাত্তার শেখ ও মৃত বদর উদ্দীন সরদারের ছেলে মোস্তফা সরদারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন।

ঘটনার বিবরণ ও অভিযোগে প্রকাশ,তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের কলাপোতা গ্রামের আ: মজিদ বিশ্বাসের ছেলে মো: মহিউদ্দীন বিশ্বাস গং ১৯৪৭ সালের পূর্ব থেকে পৈত্রিক সূত্রে ভোগ-দখল করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে ঐ সম্পত্তির দীর্ঘ দিন খাজনা বকেয়া থাকায় খাস খতিয়ানে চলে গেলে সরকার তা অন্যত্র ব্যাংক অব কমার্স খুলনার নিকট বিক্রি করে দেয়। পরে ব্যাংকের নিকট থেকে জনৈক বাদল চন্দ্র সাধ ও পরে ফের তারা বাদল চন্দ্রের নিকট থেকে কোবলা মূলে খরিদ করে সেই থেকে শান্তিপূর্ণ ভোগ-দখল করে আসছিল।

ইতোমধ্যে উপজেলার ধলবাড়িয়া এলাকার জনৈক আ: সাত্তার গং সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষদের ভূল বুঝিয়ে ও তথ্য গোপন করে ঐসম্পত্তির প্রায় ৩১ শতাংশ সম্পত্তি ফের সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নেয়। বিষয়টির খবর পেয়ে জমির মালিক মোছাম্মাৎ সখিনা খাতুন গং প্রথমে সাতক্ষীরা এডিশনাল জেলা ৩য় আদালতে একটি মামলা করেন। এতে সরকারের পক্ষে রায় হলে পরে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি আপিল মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

সর্বশেষ এমন পরিস্থিতিতে গত ৩১ মার্চ রাতের আঁধারে উপজেলার ধল বাড়িয়ার মৃত একব্বর শেখের ছেলে আ: সাত্তার শেখ ও মৃত বদর উদ্দীন সরদারের ছেলে মোস্তফা সরদার বিবাদমান সম্পত্তির পুকুরে স্যালো মেশিন লাগিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সেচ কার্যক্রম শুরু করে। খবর পেয়ে তারা তাদেরকে পুকুরের পানি না সেচতে অনুরোধ করলেও তারা কারো কোন কথায় কর্ণপাত না করে সেচ কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এমতাবস্থায় তারা শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাধ্য হয়ে স্থানীয় তালা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছে। এরপর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেচ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সময় দফায় দফায় শালিসী বসলেও তারা কারো কথা মানতে নারাজ। ভূক্তভোগী পরিবারসহ শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসীর দাবি,এলাকার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা আ: সাত্তার শেখ গংদের প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এব্যাপারে তালা উপজেলার জাতপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সাঈদুর রহমান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকালে তারা উভয় পক্ষকে স্ব-স্ব কাগজ পত্রাদিসহ পুলিশ ক্যাম্পে উপস্থিত হয়। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিে উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শ্যামনগর

যশোর

আশাশুনি


জলবায়ু পরিবর্তন