1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
১ মাঘ, ১৪৩১
Latest Posts
📰কলারোয়া সীমান্তে ৫ বাংলাদেশীকে আটক📰তালায় পানি সরবরাহের খাল জোর পূর্বক দখল ও বাড়ি নির্মাণ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অভিযোগ 📰তালায় বন্ধ ক্লিনিক খুলতে দৌড়ঝাঁপ শুরু! 📰তালায় কেক কেটে কালের কণ্ঠ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন 📰গুনাকরকাটি কামিল মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান📰আশাশুনিতে বিনা চাষ ও চাষকৃত জমিতে সরিষা আবাদ, দিগন্তজুড়ে হলুদ ফুলে সুশোভিত📰সাতক্ষীরার দেবহাটায় ৩টি বিদেশি পিস্তলসহ আসাদুল গাজী নামের এক ব্যক্তি আটক📰আশাশুনিতে মৎস‍্য ঘেরের বাসা ও নেট পাটা ভাংচুর করে লক্ষাদিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ 📰আয়নাঘর শুধু ক্যান্টনমেন্টেই ছিল না, ইউনিভার্সিটিতেও ছিল: উপদেষ্টা সাখাওয়াত📰দফায় দফায় যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাই আমানতের খেয়ানত করেছে : জামায়া‌তের আমির

গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও ॥ দারুস সালাম সমিতি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৯
  • ১৪৬ সংবাদটি পড়া হয়েছে

 
নিজস্ব প্রতিবেদক : শত শত গ্রাহকের জমানো কয়েক কোটি টাকা নিয়ে সাতক্ষীরা থেকে উধাও হয়ে যাওয়া দারুস সালাম বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা থানায় জিডি করা হয়েছে। গ্রাহকদের পক্ষে ভুক্তভোগী রহিম নামে এক ব্যাক্তি সাতক্ষীরা থানায় এ সাধারণ ডায়েরি করেন। যার ডায়েরি নং-৭৯৪। কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জিডি করা হয়েছে তারা হলেন সমিতির চেয়ারম্যান মাও. রুহল আমিন, সাধারণ সম্পাদক ওহিদুজ্জামান, আবুল হোসেন, আজিজুল হক। এসব ব্যাক্তিদের প্রলোভনে পড়ে সর্বশ^ হারিয়ে গ্রাহকরা দিশেহারা হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তবে জানা গেছে গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে কর্মকর্তা মাও. আমিন ঢাকা শহরে জমি কিনে প্লাট বাড়ি করেছেন। ওহিদুজ্জামান নিজের গ্রামের বাড়ি কাশিমাড়ী এলাকায় বিলাশ বহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন জমিও কিনেছেন। এছাড়া তিনি বর্তমানে সেখানে একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন। সদর উপজেলা ঝুটিতলার আবুল হোসেন নিজের এলাকায় জমি কিনেছেন ও বাড়ি করেছেন। আজিজুল হক মেহেদীবাগ এলাকায় বিলাশ বহুল বাড়ি করেছেন। তবে ক্ষমতাশীনদলের স্থানীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে আবুল হোসেন এলাকায় প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর বাকি কর্মকর্তারা কেউ ঢাকায় আবার নিজের এলাকায় পলাতক রয়েছেন বলে গ্রাহকরা জানান।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে শহরের পলাশপোল জর্জকোর্ট সংলগ্ন এলাকায় সরদার প্লাজা ভবনে ২০০৪ সালে গড়ে ওঠে দারুস সালাম বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর নামে জামায়াত শিবির পরিচালিত একটি সংগঠন। সেখান থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সংগঠনটির শাখা প্রশাখা বৃদ্ধি পায়। সমিতিতে যোগ দেয় কয়েক হাজার সদস্য। দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, বার্ষিক, শেয়ার কিস্তিতে মোটা অংকের লাভের প্রলোভন দেখিয়ে সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় কয়েক কোটি টাকা। গ্রাহকরা জানান জামায়াত শিবির পরিচালিত সংগঠনটি বিগত রোজা ঈদের কয়েক মাস আগে সরদার প্লাজা ভবন থেকে কর্মকর্তারা স্থান পরিবর্তন করে বর্তমান পলাশপোল বৌ বাজারস্থ এলাকায় হেনা কঞ্জু নামে বাড়িতে সংগঠনের কার্যালয়ের অফিস নেয়। ওই জামায়াত শিবির পরিচালিত সংগঠনটির পলাশপোল বৌ বাজারস্থ কার্যালয়ের সাইন বোর্ড নামিয়ে তালা ঝুলিয়ে উধাও হয়ে যায় সমিতির কর্মকর্তারা। গত ৩ আগষ্ট থেকে ওই অফিসের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারীদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সংগঠনটির চেয়ারম্যান পৌর জামায়াতের ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাও রুহল আমিন উধাও হয় আরো ১০ দিন আগে। মাও রুহলআমিন যশোর জেলার শার্শা থানার কালিনি গ্রামের এন্তাজ আলি সরদারের ছেলে। রুহল আমিন শহরে রসুলপুর গ্রামে বসবাস করতেন। সংগঠনটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক জামায়াত নেতা হাফেজ মাও আবুল হোসেন। আবুল হোসেন ঝুটিতলা এলাকার বাসিন্দা। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও জামায়াত নেতা মোঃ ওহিদুজ্জামান। ওহিদুজ্জামান (বর্তমানে) পুরাতন সাতক্ষীরার বজলুর রহমানের ছেলে। এছাড়া ওহিদুজ্জামান জামায়াতের সাবেক এমপির রিয়াসাত আলির আপন শ্যালক। সংগঠনটির আরএমও আজিজুল হক সদরের হাওয়ালখালী গ্রামের ইয়াছিন সরদারের ছেলে। সংগঠনের মাও রুহল আমিন, ওহিদুজ্জামান, আবুল হোসেন, আজিজুল হক সহ তাদের লোকজন শত শত গ্রাহকের জমানো টাকা ভাগবটোয়ারা করে পালিয়ে যায়। গ্রাহকদের জমানো টাকায় কেনা ওই সংগঠনের অফিসের মটরসাইকেল, কম্পিউটার সহ অফিসের মুল্যবান আসবাবপত্র গুলো জামায়াত নেতা ওহিদুজ্জামান, আবুল হোসেন, সহ অন্যরা বাগবটোয়ারা করে তাদের বাড়িতে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন বলে সূত্রে জানান। গ্রাহকরা জানান গ্রাহক দের জমানো টাকা জর্জকোর্ট ভান্ডার ব্যবসায়ী শওকতের ৯ লাখ, রহিমের ৭০ হাজার, সেলিম মুদি দোকানদারের পরিবারে ৮০ হাজার, সংগঠনের অফিস সহকারী শাহাদাতের ১ লাখ, আশাশুনির থানার বসুখালী গ্রামের আসমত আলির ৮০ হাজার, আসমত আলির শ্যালকের ৩ লাখ, রসুলপুর এলাকার ফরিদ হোসেনের ৭০ হাজার টাকা সহ এরকম গ্রাহকের মত শত শত গ্রাহকের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে। তবে গ্রাহকের টাকা আতœসাতকারী আবুল হোসেন উপরে মহলের ছত্রছায়ায় থেকে শহরে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। এঘটনায় কয়েকজন গ্রাহকরা সাতক্ষীরা থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন বলে জানাগেছে। এব্যাপারে সাতক্ষীরা প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল ও সমিতির গ্রাহকরা।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd