পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের পুষ্পকাঠি টহল ফাঁড়ির অফিস ইনচার্জ (ওসি) মহসিন আলমের বিরুদ্ধে গহীন সুন্দরবনে মাছ ধরা জেলেদের জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিসার (এস.ও) কে.এম কবীর উদ্দীন বিষয়টি তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়ায় তার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় আদায়কৃত মুক্তিপনের টাকা অবশেষে ভুক্তভোগী জেলে সোহরাব হোসেনের কাছে ফেরত দিতে বাধ্য হলেন ওসি মহসিন আলম।
জানা যায়, গত ৩ মার্চ সুন্দরবনের পুষ্পকাটি গহীন অরন্যে মাছ ধরার অপরাধে ওসি মহসিন আলমের নেতৃত্বে পুষ্পকাঠি বন টহল ফাঁড়ির সদস্যরা চার জেলেকে আটক করে। এরপর তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন চাওয়া হয়। আটক জেলেরা উক্ত ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২৮ হাজার টাকা পরিশোধ করলে ওসি মহসিন আলম তাদের ছেড়ে দিলেও বাকি ২২ হাজার টাকার জন্য তাদের ব্যবহৃত নৌকা ও জাল আটকে রাখা হয়।
বাড়িতে ফিরে তাদের মধ্যে ভুক্তভোগী জেলে সোহরাব হোসেন এর প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) রফিক আহম্মেদ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিসার (এস.ও) কে.এম কবীর উদ্দীনকে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন করেন। তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় কোন উপায়ান্তর না পেয়ে ওসি মহসিন আলম জেলেদের কাছ থেকে নেয়া উক্ত ২৮ হাজার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসও কে.এম কবীর উদ্দীন এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ২৮ হাজার টাকা জেলেদের ফেরত দেওয়া হয়েছে এবং ওসি মহসিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) রফিক আহম্মেদ এ ঘটনার সত্যতা স¦ীকার করেছেন।
খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষক (ডিএফও) বশিরুল আল মামুন বলেন, দুর্নীতি পরায়ন ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।##
Leave a Reply