আশাশুনিতে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন দুইজন। এরমধ্য একজন মোসলেমা খাতুন মিলি লড়ছেন কলস প্রতীক নিয়ে তার বিপক্ষে লড়ছেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে তৃতীয় লিঙ্গ হেনা গাজী।
তবে স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে প্রচার ও প্রচারণায় ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন হেনা গাজী। ফুটবল প্রতীক নিয়ে তিনি প্রথম উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেও এর আগে ইউপি সদস্য হিসেবে এলাকা বাসীর কাছে প্রিয়। ফলে ইতোমধ্যে মানুষের হৃদয়ের মনি কোঠায় জায়গা করে নিয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের হেনা গাজী।
নিজের স্বার্থের দিকে না তাকিয়ে সব সময়
গরীব দুখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা ধারা নিয়েই তিনি উপজেলা নির্বাচনে
অংশ গ্রহণ করছেন। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বচনে এলাকাবাসীর হৃদয়ের মণি কোঠায়
জায়গা করে নিয়ে নির্বাচনী প্রাচারনা চালিয়ে যাচ্ছে হেনা গাজী।
স্থানীয় তরুণ ভোটার কামরুল ইসলামসহ কয়েকজন বলেন, হেনা গাজী তৃতীয় লিঙ্গের
হলেও এর আগে সে তিনবার ইউপি সদস্যর দায়িত্ব পালন করেছেন তার সুমিষ্টি
আলাপ,গরীব দুখীর প্রতি ভালবাসা সকলকে মুগ্ধ করেছে। এজন্য উপজেলা মহিলা ভাইস
চেয়ারম্যান হিসেবে সাধারণ ভোটাররা তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে
জানান।
নির্বাচনে জয়ের আশাবাদী হেনা গাজী বলেন, তিনি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ কিন্তু তার ইচ্ছা শক্তি তাকে মানুষের সেবা করা থেকে দুরে রাখতে পারেনি। উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার জন্য তাকে উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে নির্বাচনে লড়তে হচ্ছে। সে তৃতীয় লিঙ্গের বলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তিনি জনসাধারণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে সারা বাংলাদেশে একটি ইতিহাস সৃষ্টি করবেন। আশাশুনি উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে আশাশুনিবাসীকে উপহার দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিবেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরাও সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।
Leave a Reply