আজ বিকালে পর্দা উঠবে সাতক্ষীরা বই মেলার


ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক   পার্কে পর্দা উঠছে সাতক্ষীরার সাহিত্যমোদি মানুষের প্রানের আবেক মিশ্রিত বই মেলা।এগারো দিনের এ মেলার সমাপ্তি ঘটবে আগামী ১৭ মার্চ।

  ‘মিলিবে আর মেলাবে’ এমন প্রত্যাশার আলোয় এবারের বই মেলায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বসবে কবি, সাহিত্যিক, লেখক, পাঠক ও দর্শণার্থীদের মিলনমেলা। ১১দিনব্যাপী এ বইমেলায় তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়াবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। অগ্নিঝরা মার্চের এ মাহেন্দ্রক্ষণে দেশের খ্যাতিমান লেখক ও প্রকাশকদের অংশগ্রহণে এ বই মেলায় জেগে উঠবে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। প্রাণের বইমেলা উপলক্ষে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক সেজেছে অপরূপ সৌন্দর্যের আবরণে। শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ শহীদ মিনার চত্তরকে বর্ণিলরূপে সাজানো হয়েছে। আজ দুপুর ১টায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বই মেলার দ্বার উন্মোচন করবেন সদর এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সৃজনশীল জ্ঞান প্রকাশনী সংস্থার সহ-সভাপতি খান মাহাবুব। বিশেষ অতিথি থাকবেন পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আফজাল হোসেন। মেলায় দর্শণার্থীদের নিরাপত্তা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকছে মুখরোচক খাবারের স্টল।
প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। মেলায় দেশের খ্যাতিমান ৫০টি প্রকাশনা সংস্থার পাশাপাশি ইসলামী ফাউন্ডেশন, শিশু একাডেমী, নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশন, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিসহ স্থানীয় লেখক ও সংস্থার বই থাকবে স্টলগুলিতে। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে চলবে স্বনামধন্য শিল্পীদের সমন্বয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া সুখ্যাতি সম্পন্ন বুদ্ধিজীবী, লেখক ও সাহিত্যিকদের সমন্বয়ে সেমিনার পর্বও থাকবে।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, সাতক্ষীরাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে জ্ঞানভিত্তিক আলোকিত সমাজ বিনির্মানের কোন বিকল্প নেই। একমাত্র বই পারে সমাজে সেই আলো জ্বালতে। বই সব ধরনের অপরাধ থেকে মানুষকে দুরে রাখতে পারে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মেলায় দর্শণার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার পাশাপাশি বিনামূলে ডায়বেটিস পরীক্ষার সুযোগ থাকবে। সাংবাদিকদের জন্য থাকবে ওয়াইফাই সংযুক্ত মিডিয়া সেল। প্রতিদিন সেখান থেকে সাংবাদিকরা বইমেলার আপডেট নিউজ কাভার করতে পারবেন। সাতক্ষীরার বইমেলায় ক্রেতারা ৩০ শতাংশ কমিশনে বই কিনতে পারবেন বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
নতুন রং আর বইয়ের ভাঁজ খোলা গন্ধে মেতে উঠবে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ। বাসন্তী সন্ধ্যায় দখিনা বাতাসে এ গন্ধ আরও ছড়িয়ে পড়বে চারদিকে। এমনই আবহে জনজোয়ার ঘুরে-ফিরে দাঁড়াবে প্রকাশনীগুলোর সামনে। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।



Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *