অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী: সম্ভবনার অনেক দ্বার উম্মোচিত হচ্ছে। দেশ এখন অনেক উন্নয়নের সুচক স্পর্ষ করেছে বা করার দিকে এগুচ্ছে। সাধারণ মানুষ অন্য যে কোন সময় অপেক্ষা অর্থনৈতিক নিরাপত্তার মধ্যে আছে। নানান ধরনের কর্মসুচির মাধ্যমে সমাজের নীচের দিকের মানুষদের হাতে অর্থ যাওয়ার পথ তৈরী করেছে সরকার। কর্মসৃজন কর্মসূচিরমত কার্যক্রম দরিদ্র মানুষদের অথনৈতিক নিরাপত্তার বলয় তৈরী করেছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সার্বক্ষনিক প্রাপ্তি এখন অনেকাংশে বাস্তব হিসেবে পরিগনিত হয়েছে।
রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে প্রায় বিতারিত মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধপক্ষ ও তাদের সহযোগি এবং আশ্রয়দাতারা। নূতন প্রজন্ম স্বাধীনতার ইতিহাস বিষয়ে অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশী জ্ঞাত। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষনা নিয়ে বিভ্রান্তির পথ বন্ধ হয়ে গেছে। সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা এখনও সম্ভব না হলেও প্রায় সকল প্রধান প্রধান যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন ও বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। আদালতের রায়ে সামরিক শাসনের সময় জারিকৃত সকল অধ্যাদেশ বাতিল হয়েছে। রুদ্ধ হয়েছে অসাংবিধানিক ভাবে ক্ষমতা দখলের পথ।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় তৈরী হয়েছে অভুতপূর্ব সম্ভবনা। দেশব্যপি সড়ক পথের সংস্কার, প্রস্তস্থকরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে জোরেসোরে। প্রায় সকল অঞ্চলের সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে। গ্রামাঞ্চলেও এখন কাঁচা রাস্তার দেখা খুব কমই মেলে। পদ্মা সেতুর তৈরীর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানীর যোগাযোগ সহজতর হওয়ার সম্ভবনার তৈরী হয়েছে। আর এ সেতু নির্মানের মাধ্যমে সম্ভনার নূতন দিগন্ত সুচিত হবে। একই সংগে মোংলা নৌ-বন্দর, বেনাপোল ও ভোমরা স্থল বন্দরের গুরুত্বও বেড়ে যাবে বহুগুনে। রেলপথও এখন অনেক বেশী ক্রিয়াশীল। পদ্মা সেতুতে রেল লাইনের সংযোগ আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে এ অঞ্চলকে।
নারীর ক্ষমতায়ন এখন অনেক দৃশ্যমান। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তরে নারীর অবস্থান অনেক বেড়েছে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সাধারন মানুষের আস্থায় নারী নেতৃত্ব বেশী। সামাজিক কুসংস্কার পিছে ফেলে নারীর এগিয়ে আসার পথ বর্তমান সরকারের নারীবান্ধব কর্মপন্থার গ্রহনের কারনে সহজতর হয়েছে। বিচার ব্যবস্থায়ও নারীর অবস্থান অনেক শক্তিশালি হয়েছে।
হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মূলধারার সাথে যুক্ত করা সরকারের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। চাকুরীসহ সকল পর্যায়ে হিজড়াদের অংশগ্রহনের পথ উমুক্ত হয়েছে। যে কষ্টকর অমানবিক জীবনধারার মধ্যদিয়ে হিজড়া জনগোষ্টিদের চলতে হতো তার অবসান আস্তে আস্তে ঘটবে।
সামাজিক বৈষম্যহীন সমাজের দিকে এখন এগিয়ে যাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। সকল উন্নয়ন ও অগ্রগতির ছোয়া সকল মানুষদের গায়ে লাগতে হলে সকল স্তর হতে দুর্নীতিকে বিতাড়িত করা খুবই জরুরী। গড়ে তোলা দরকার সকল স্থরে জবাবদিহি ব্যবস্থা। যার সুস্পষ্ট অঙ্গিকার বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ঘোষনায় রয়েছে। মানুষ বিশ^াস করে বর্তমান সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা কে। মানুষের একমাত্র আস্থারস্থল হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। যাঁর নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আর্ন্তজাতিক ভাবে স্বীকৃত।
Leave a Reply