বিনা সরিষা-৪ স্বল্প সময়ে অধিক ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে হাড়দ্দার কৃষক সাইফুল ইসলামের মুখে। ২৫শতক জমিতে তিনি চাষ করেছেন এই উন্নতজাতের ফলনশীল সরিষা। আমন ধান চাষে সময় বেশি লেগে যাওয়া হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার পরামর্শে তিনি চাষ করেন বিনা সরিষা-৪। দেশীয় সরিষা সেখানে বিঘা প্রতি ৫মনের বেশি ফলন দেয়না সেখানে বিনা-৪ ফলন পাবেন ৮মন। আবার তেলের দিকে থেকে রয়েছে আমুল পরিবর্তন। দেশীয় সরিসা ৩শগ্রামের পরিবর্তে ৪শ৫০গ্রাম। তাই বিনাসরিষা-৪ চাষ করা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার অন্যান্য চাষিরা। এউপলক্ষ্যে সাতক্ষীরার হাড়দ্দায় উচ্চ ফলনশীল বিনা সরিষা-৪ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দ্দায় সরিষা কর্তৃন উপলেক্ষ্য এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাত এর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিনা সরিষা-৪ বাংলাদেল পরমাণু গবেষনা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র সাতক্ষীরা এ আয়োজন করেন। পরিবর্তিত আবহাওয়া উপযোগী বিভিন্ন ফসল ও ফলের জাত উদ্ভাবন কর্মসূচীর অর্থায়ণে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল-আরাফাত তপু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সাতক্ষীরার জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাসুম সরদার সঞ্চালানায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আমজাদ হোসেন, ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আব্দুল গফুর, উপসহকারি কৃষি অফিসার আরুফা সুলতানা প্রমুখ, কৃষক সাইফুল ইসলাম, নুরুল আমিন প্রমুখ।এসময় ভোমরা ইউনিয়নের হাড়দ্দহা গ্রামের দেড় শতাধিক কৃষক কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
এ সময় বক্তব্যরা বলেন দিন দিন দেশের জনসংখ্যা বেড়েই চলেছে। একই সাথে জমির পরিমান কমে যাচ্ছে। সেজন্য স্বল্প জমিতে উচ্চফলনশীল জাত ফলাতে হবে। স্বল্প সময়ে অধিক ফলনে বিনা সরিষা-৪এর বিকল্প নেই। দেশের সকল মানুষকে সুস্থ্য থাকতে সরিষা তেলের বিকল্প নাই। এজন্য ভোজ্য তেল হিসাবে সরিষার তেল ব্যবহার করতে হবে। দিন দিন মানুষ রান্নাসহ বিভিন্ন কাজে সরিসার তেলের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। বিনা সরিষা-৪ জীবন কাল কম সময় ৮০/৮৫দিন। দেশী সরিষায় ৩০ গ্রাম তেল উৎপাদন হয় সেখানে বিনা -৪ এ ৪শ গ্রাম থেকে ৪শ৫০গ্রাম তেল উৎপাদন হয়। এছাড়া অন্যান্য সরিষার তুলনায় বিঘাপ্রতি ২মন বেশি ফলন দেয় তাই এটি বেশি লাভবান।
Leave a Reply