কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জের পল্লীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক অভিযান চালিয়ে অবৈধ ১১জন ইট ভাটা মালিকের নিকট হইতে ১লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার সময় সাতক্ষীরার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সজল মোল্লার নেতৃত্বে সংগীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে মুকুন্দ মধুসুদনপুর গ্রামে পাল পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত ও জরিমানার টাকা আদায় করে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে অবৈধ ইট ভাটার ব্যবসা বন্ধ না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সজল মোল্লা উপস্থিত অবৈধ ভাটা মালিকদের নির্দেশ দেন। গতকাল অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাটা গুড়িয়ে দিয়ে প্রত্যেক কে ১০ হাজার টাকা করে ১১ জন ভাটা মালিকের নিকট হইতে ১লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। অবৈধ ভাটা মালিকরা হল মুকুন্দ মধুসুদনপুর গ্রামের মৃত কানাই লাল বিশ্বাসের পুত্র নিরাপদ বিশ্বাস (৪৫), রাধা পদ পালের পুত্র সম্ভু পাল (৪০), নিতাই পালের পুত্র বসুদেব পাল (৫৫), দিজেন্দ্রনাথ পালের পুত্র প্রভাত পাল (৪৬), নিতাই পালের পুত্র গোবিন্দ পাল (৪২), বাসুদেব বিশ্বাস (৪৮), দাউদ কারিকরের পুত্র আনারুল কারিকর (৪০), মোহর আলী মোড়লের পুত্র মোজাম্মেল হক (৩৫) এবং নৌবাজপুর গ্রামের মোসলেম আলী সরদারের পুত্র সবুজ (৩৫), এরা বছরের পর বছর মাটির হাড়ি পাতিল তৈরীর নাম করে গ্রামের ভিতর অবৈধ ভাবে ভাটার ইট পুড়িয়ে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবসা করে আসছিল। মাঝে মধ্যে তাদের নিকট থেকে বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী পরিচয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে এই ব্যবসা করার সুবিধা দিয়ে আসছিল। এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসন কে মৌসুমী উপঢৌকন নিয়ে বহাল তবিয়াদে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। মুকুন্দপুর পাল বাড়ি ছাড়াও কালিগঞ্জ উপজেলার পাওখালী, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গা গ্রাম সহ রতনপুর, তেঁতুলিয়া, কুশুলিয়া, মৌতলা, ধলবাড়িয়া, ভাড়াশিমলা সহ বিভিন্ন গ্রামে গড়ে উঠেছে শত শত অবৈধ ইটের ভাটা। আর এই অবৈধ ইটের ভাটা গড়ে ওঠার কারণে এলাকায় পরিবেশ হুমকির মুখে।
Leave a Reply