সাতক্ষীরার তালা উপজেলার হাজরাকাটি কাঠবুনিয়া এলাকার সুকুমার মন্ডল পাওনা টাকা না দিয়ে স্বপরিবারে ভারতে যাওয়ার জন্য সংবাদ সম্মেলন স্ত্রীকে দিয়ে মেয়েকে হয়রানির মিথ্যে নাটক সাজিয়ে সাংবাদিক ও তরুণ ব্যবসায়ী তপন চক্রবর্তীর চরিত্র হরণের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তালা উপজেলার হাজরাকাটি গ্রামের সুনীল চক্রবর্তীর ছেলে সাংবাদিক তপন চক্রবর্তী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তপন চক্রবর্তী বলেন, তিনি পেশায় একজন সাংবাদিক ও তরুণ ব্যবসায়ী। বর্তমানে তালা উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। হাজরাকাটি কাঠবুনিয়া এলাকার মৃত বাবুরাম মন্ডলের ছেলে সুকুমার মন্ডল পারিবারিক হিসাবে তার পূর্ব পরিচিত। মহাজনদের দেনা পরিশোধ এবং তিন মেয়েকে বিয়ে দেয়ার জন্য সুকুমার মন্ডল জমি লিখে দেয়ার শর্তে বিভিন্ন মেয়াদে তার (তপন) কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। টাকা নেয়ার বেশ কিছুদিন পর পরিশোধ করতে ব্যার্থ হয়ে ২ মাস পর এককালিন কিস্তিতে পরিশোধ করবে মর্মে ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর একটি তিনশত টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে দেয় সুকুমার মন্ডল। কিন্তু দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পর টাকা না দিয়ে সুকুমার তালবাহনা শুরু করে দেয়। এরপর কৌশলে দুই মেয়েকে ভারতে বিয়ে দেয় এবং আমার টাকা পরিশোধ না করে জমি অন্যত্র বিক্রি করে স্বপরিবারে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে গত ৯ জানুয়ারী তালা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করি। এখবর পেয়ে সুচতুর সুকুমার টাকা পরিশোধ না করতে এবং আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে আমি টাকা আদায়ের জন্য আমার কাছে থাকা স্ট্যাম্পের সাহায্যে গত ১০ জানুয়ারী তালা থানায় একটি মামলা দায়ের করি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলার খবর পেয়ে কুটকৌশলী সুকুমার মন্ডল নিজের ৮ম শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়ের সাথে অনৈতিক সর্ম্পকের মিথ্যে অভিযোগ তুলে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য তার স্ত্রীকে দিয়ে গত ১০ জানুয়ারী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি মিথ্যে সংবাদ সম্মেলন করে। সুকুমার নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য আমার চরিত্র হনন করেই ক্ষ্যন্ত হয়নি। সে আমাকে চরমপন্থি হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। টাকা বা জমি কোনটাই না দেয়ার জন্য সুকুমার তার স্ত্রীকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে এধরনের মিথ্যে অপপ্রচার চালিয়েছে। তপন চক্রবর্তী আরো বলেন, সুকুমারের ছোট মেয়ে গত ২ ডিসেম্বর পাসপোর্টে ভারতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। তাকে ওই দেশে পাত্রস্থ করেছেন। বাংলাদেশে থাকবে না বলে সুকুমার একে একে মেয়েদের ভারতে বিয়ে দিয়েছে। আমার টাকা না দিয়ে রাতারাতি জমা-জমি বিক্রি করে সে দেশ ছাড়ার পায়তার করছে। গত ৩ জানুয়ারী তার মেয়েকে তুলে আনা এবং আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে বা কোন সামাজিক মাধ্যমে আমি ছাড়িনি বা ছাড়ার হুমকিও দেয়নি। সুকুমার তার হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সংবাদ সম্মেলনে এধরনের মিথ্যে তথ্য উপস্থাপন করেছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে সুকুমারের স্ত্রীর দেয়া মিথ্যে বক্তব্যের সূত্র ধরে সাতক্ষীরার বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সাথে সুকুমারের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় ও তার চরিত্র হননের সাথে জড়িতদের দৃষ্টন্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply