শ্যামনগর ব্যুরো ঃ এলাকা সুধী মহাল সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শ্যামনগর উপজেলার ৮ নং ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের একমাত্র নৌকার প্রচারক বংশীপুর গ্রামের মৃত দরবার গাজীর পুত্র মোহাম্মদ আলী। সে ডকুমেন্টধারী একজন আওয়ামীলীগ কর্মী। তার উপরে বিভিন্ন নির্যাতন ও জুলুম করায় বিভিন্ন মামলার আসামীরা মোহাম্মদ আলীকে সব সময় ক্ষতি করে আসছে। ২৯/১২/১৮ তারিখ বংশীপুর এলাকায় মোহাম্মদ আলীর নৌকার প্রচার মাইক সহ প্রচার অফিস ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকার মালামাল ক্ষতি করে। তারা ১৩/০৫/১৮ তারিখ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা নং ৪৪৫/১৮ ও পারিবারিক আদালতে মামলা নং ৫০/১৮ এর আসামী। আসামীরা হলো- হালিম, আমির আলী ও সালাম সহ ৬ জন। এদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা স্বর্তেও আক্রোশমুলক আসামীরা বাদী পক্ষকে দা, লাঠি সহ মারতে উর্দত হয় ও বিভিন্ন হুমকি দেয় এবং থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করায় ১৬/১০/১৮ তারিখ বাদী পক্ষ সহকারি পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ করে। সহকারি পুলিশ সুপার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ১১/১১/১৮ তারিখ ১১৪২ নং স্মারকে থানায় পাঠায়। এঘটনায় বাদী পক্ষ মোহাম্মদ আলী ও তার দুই কন্যা শ্যামনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। ছবি সহ বিভিন্ন পত্রিকায় এ খবর প্রকাশ হয়। এরপরেও থানায় কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় নিরুপায় হয়ে বাদীপক্ষ পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা বরাবর দরখাস্ত করে। আসামীরা পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে নাশকতা মামলার ১৫৪ নং চার্জশিটে বাদী পক্ষের নাম দেওয়া সহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে ষড়যন্ত্র করে হয়রানি করায় এঘটনাও বাদী পক্ষ পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা নিকট দরখাস্ত করে। পুলিশ সুপার সার্কেল সাহেব কে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সার্কেল সাহেব ৭/১২/১৮ তারিখ ৯৬৫ নং স্মরকে থানায় পাঠায়। এসব সত্য দরখাস্ত থাকা স্বর্ত্বেও থানা কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ১০/১/১৯ তারিখ আসামীদের নিকট থেকে মিথ্যা দরখাস্ত নিয়ে পুলিশ বাদী পক্ষ মোহাম্মদ আলীর কন্যা মরিয়ম ও সুমাইয়াকে থানায় ডেকে শুনানী কালে বাদী পক্ষ বলে আসামীদের নামে আদালতে মামলা আছে। একথা বলায় পুলিশের সামনে আসামীরা বাদী মরিয়ম, সুমাইয়া ও তার মাকে বেপরোয়া মারপিঠ করে গুরুতর আহত করে। বাদী পক্ষ শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এঘটনা ১১ ও ১২ জানুয়ারী ২ দিন ধরে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হয়। আরও জানা যায়, বাদী পক্ষ মোহাম্মদ আলী ও তার মেয়েদের নামে আসামীরা অশ্লীল কথা রটিয়ে সমাজে তাদের হেয় প্রতিপন্ন করে। এরা ২০০১ সাল হতে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ আলীর বাড়ি ঘর ভাংচুর করে ক্ষয়ক্ষতি করে। মোহাম্মদ আলীর রান্না ভাত-তরকারি ও বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায় এবং তারা মোহাম্মদ আলীর রেকর্ডভুক্ত জমি দখলকারী ব্যক্তি হইতেছে। এর পরেও আসামীরা মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারকে খুন জখম ও থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের পায়তারা করছে। আসামীদের এসকল অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে বাদী পক্ষ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
Leave a Reply