ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় কপালে একটু হলেও ভাঁজ পড়েছে। সাকিব-মাহমুদুল্লাহরা না হয় স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছেন। তাই বলে তাইজুলও। এ উইকেট ব্যাটিং সহায়ক না হয়ে যায় না। মাথায় তখন চিন্তা উঁকি দিচ্ছে পেসারবিহীন দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকাবে কিভাবে। পরীক্ষিত সৈনিক সাকিব-মিরাজদের তাই প্রমাণ দিতে হতো। কিন্তু উইন্ডিজকে ইনিংসের শুরুতে এভাবে কাঁপিয়ে কৌশলের স্বপক্ষে যুক্তি দাঁড় করাবেন তা ভাবা যায়নি। টাইগারদের প্রথম ইনিংসের ৫০৮ রানের জবাবে শুরুতে ধসে গেছে সফরকারীরা। তারা ৭৫ রানে হারিয়েছে ৫ উইকেট। দ্বিতীয় দিন শেষে পিছিয়ে ৪৩৩ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে শুরুতে কাঁপন ধরিয়েছে সাকিব-মেহেদিরা। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব শূন্য রানেই উইন্ডিজ দলের নেতা ক্রেগ ব্রাথওয়াটকে বোল্ড করে দেন। এরপর দলের ৬ রানে কিয়েরন পাউয়েলকে বোল্ড করেন মিরাজ। তাদের ১৭ রানের মাথায় আমব্রিসকে বোল্ড করেন সাকিব। মেহেদি মিরাজ পাল্লা দিয়ে রোস্টন চেজ ও শাই হোপকে বোল্ড করে ফেরান। মাত্র ২৯ রানে পাঁচ উইকেট হারায় সফরকারীরা। বোল্ড হয়ে ফেরেন উইন্ডিজের টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যান।
এরপর
অবশ্য ষষ্ঠ উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়েছেন সিমরন হেটমায়ার এবং শেন ডউরিচ।
দ্রুত রান তোলা হেটমায়ার ৪৩ বলে ৩২ রান তুলেছেন। কিন্তু এই স্পিন স্বর্গে
কতক্ষণ তিনি তার ওয়ানডে মেজাজে রান তুলতে পারেন সেটাই দেখার থাকবে তৃতীয়
দিনের শুরুতে। তার সঙ্গে ১৭ রানে আছেন উইকেটরক্ষক ডউরিচ।
এর আগে বাংলাদেশ দল মাহমুদুল্লাহর ক্যারিয়ার সেরা ১৩৬ রানের সুবাদে বড় সংগ্রহ পায়। এছাড়া দলের আরও তিন ব্যাটনম্যান পান অর্ধ শতক। সেঞ্চুরি জলাঞ্জলি দিয়ে সাকিব ফেরেন ৮০ রান করে। তার আগের দিন অভিষেক হওয়া সাদমান ৭৬ রান করে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তবে উইকেটরক্ষক হিসেবে দলে ঢোকা লিটন দাস ৫৪ রানের ইনিংস খেলে দলে জায়গার আবদার করে রাখলেন। দলের হয়ে মিঠুন-মুমিনুলের ২৯, তাইজুলের ২৬ কিংবা সৌম্যর ১৯ রানও বড় সংগ্রহ পেতে বেশ কাজে দিয়েছে।
বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে মেহেদি মিরাজ ৩৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন। সাকিব ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেবেন্দ্র বিশু, কেমার রোচ, ওয়ারিক্যান এবং ব্রাথওয়াট দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান লেইস এবং চেজ। সুত্র : সমকাল
Leave a Reply