গত ১৬ নভেম্বর শুক্রবার রাতে সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ভাটপাড়া স্কুল মাঠে স্থানীয় গ্রামবাসীদের আয়োজনে ঐতিয্যবাহী গাদন খেলা অনুষ্টিত হয়। প্রতিবন্ধী রাজুকে বাড়ীতে সবসময় বেধে রাখা হয়। কিন্তু সেদিন গাদন খেলা দেখার জন্য ভিশন জালাতন করতে থাকে বাড়ীতে । পরবতীতে সে তার পিতার সাথে খেলা দেখতে যায়। খেলা চলাকালিন রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে খেলার বিরতী চলাকালিন সময়ে মোঃ আরিজুল ইসলামের ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী রাজু (২২) খুশিতে হৈচৈ করতে থাকলে এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী আরশাদ আলী, তার ছেলে-সোহাগ, হজরত আলীর ছেলে মিলন, মাজেদ মেম্বারের ছেলে মিঠু তাকে বেদম মারপিট করে মারাত্মক আহত করে। মানসিক প্রতিবন্ধী রাজুকে মারাত্মক আহত অবস্থায় পরদিন শনিবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার মানসিক স্বাস্থ্য ইনষ্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে মানসিক হাসপাতালের বয়স্ক পুরুষ ০৩ নং ওয়ার্ডের ২৪৯ রুমে ২৫ নং বেডে ডাঃ নিলুফার আক্তার জাহান ও ডাঃ শাকী রায়সুল মাহমুদের চিকিৎসাধীন রয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
প্রতিবন্ধী রাজুর চাচা মোঃ আনিছুর রহমান জানান বিগত প্রায় ২ বছর আগে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানের সময় মোটরসাইকেলে সাদা পোশাকের দুজন পুলিশকে উপরোক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ী দেখিয়ে দেওয়ার অপরাধে তারা রাজুকে ভিশন মারপিট করে আহত করে। তখন রাজুর অভিভাবকরা থানায় অভিযোগ করার চিন্তাভাবনা বা উদ্যোগ নিলে বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারা ভূল শিকার করে গন্ডগোল মিমাংসা করা হয়েছিল। কিন্তু আরশাদ আলীসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা মনে মনে রাগ পুষে রেখেছিল এই মারের কারনই তার প্রমান। প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয় তাদেরও অধিকার রয়েছে সুন্দর জীবনযাপন এবং খেলাধুলায় অংশগ্রহন করার। একজন প্রতিবন্ধী সে সমাজে সকলের সহানুভূতি নিয়ে বেচে থাকতে চায়। তার দরকার আদর-যন্ত ও সেবা। কিন্তু এলাকায় সে প্রতিনিয়ত মারধর ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। অবহেলিত মানসিক প্রতিবন্ধী রাজুকে মারধরের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে উপরোক্ত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস,এম মোস্তফা কামাল এবং পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমানের কাছে দাবি জানিয়েছেন তার পরিবার।
Leave a Reply