সুকুমার চক্রবর্ত্তী, শ্যামনগর,সাতক্ষীরা ঃ সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছিয়া টুরিষ্ট সেণ্টারে এই শীত মৌসুমে পর্যাপ্ত পর্যটকের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ওখানে টুরিস্টদের দেখারমত পর্যাপ্ত জংলি মায়াবি হরিণের আনাগোনা রয়েছে যার কারনে পর্যটকরা কলাগাছিয়াতে আকৃষ্ট হয়ে থাকেন। কলাগাছিয়া টুরিষ্ট সেণ্টারে পর্যটকদের জঙ্গলের ভেতর হাটাহাটি করার জন্য আধা কিলোমিটার ফুট ট্রেইল, ওয়াচ টাওয়ার, বসার জন্য গোল ঘর আছে দুইটি। সার্বিক বিবেচনায় সুন্দরবনের অভ্যন্তরে টুরিস্ট সেণ্টারটি পর্যটকের জন্য একটি আকর্ষনিয় স্থান। নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানাযায়, গত কয়েকদিন ধরে ওই টুরিষ্ট রিসোটের ফুট ট্রেইলের আসপাসে দুইটি বাঘ ঘোরাফেরা করার প্রমান পাওয়াগেছে ফুটপ্রিণ্ট দেখে। ফিওে আসা একটি পর্যটক গ্রুফ এর সাথে কথাবলে জানা যায়, কলাগাছিয়াতে প্রচুর বাদরের আনাগোনা লক্ষনিয়। শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ঘাটের ট্রলার মাঝি আলমগীর হোসেন জানান, পর্যটকদের নিয়ে কলাগাছিয়া বন টহল ফাড়ীর পল্টনে বোট রাখার সাথে সাথেই প্রচুর বাদর এসে ভিড় করছে এবং তাদের খাওয়ার জন্য কিছু নাদিলে বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে থাকে বাদরের দল। ইতিমধ্যেই একজন বন কর্মী সহ কয়েক জনকে কামড়ে দিয়েছে বাদর। বিষয়টি কলাগাছিয়া টহল ফাড়ীর ইনচার্জ মোঃ নূর ইসলাম জানান, অনেকে বেড়াতে এসে অনেগুলো বাদর দেখে তাদের সাথে দুষ্টামি করার কারনে অথিষ্ট হয়ে কামড়ে দিয়েছে। রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী ষ্টেশন অফিসার কে এম কবির উদ্দীন এর নিকট বাঘের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সুন্দরবন তো বাঘেরি বসবাসের স্থান সেখানেতো বাঘ থাকবেই। আর সেই জন্য ইতিমধ্যেই তিনি কলাগাছিয় বন টহল ফাড়ীর কমর্ রতদের বাঘের বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন সহ পর্যটকদের সাথে কথাবলে সংঙ্ঘবদ্ধ ভাবে চলাচলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
Leave a Reply