আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনিতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হলো ঈদে মিলাদুন্নবী। দিবসটি পালনের লক্ষে উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের পাড়া মহল্লায় বিভিন্ন ধরনের কমসূচি পালন করা হয়েছে। প্রায় এক হাজার ৪শত বছর আগে এই দিনে আরবের মরুপ্রান্তরে মা আমেনার কোলে জন্ম নিয়ে ছিলেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)। আবার এই দিনেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলেও গিয়েছিলেন। জন্মের পরে পিতা মাতাকে হারিয়ে এতিম অবস্থায় প্রথমে দাদা আব্দুল মুত্তালিব ও পরে চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হন হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)। ৪০ বছর বয়সে নবুওত লাভের পর শুরু করেন মানুষকে সত্য সুন্দর ও শান্তির পথ প্রদর্শনের আন্দোলন। অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে তিনি এ আন্দোলনে সফল হন। প্রতিষ্ঠা করেন সাম্য শান্তির অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র মদিনা মুনাওয়ারা। তিনিই সর্বপ্রথম মদিনা সনদ নামে শান্তিময় রাষ্ট্রের লিখিত সংবিধান প্রণয়ন করেন যা আজও বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধান হিসেবে স্বীকৃত ও সম্মানিত। ইসলাম ধর্মমতে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) শেষ নবী। তাই তাঁর জন্ম ও ওফাত দিবস ১২ রবিউল আউয়াল মুসলমানদের কাছে একটি পবিত্র দিন। মুসলমানরা দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) হিসেবে পালন করেন। ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) এর জন্ম ও ওফাত উপলক্ষে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা, সমগ্র মুসলিম উম্মা এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে বয়ান ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে মুসলিম উম্মা রাতভর মসজিদে ইবাদত বন্দিগী ও দোয়া দুরুদ করেন
Leave a Reply