1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰সাতক্ষীরা দেবহাটায় ছাত্রশিবিরের আন্ত:ওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত 📰আশাশুনির গাজীপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্য রোধের আবেদন📰প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন📰আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস📰অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২📰উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন📰‘উপকূলীয় নারীদের সফলতা ও জ্ঞানের কথা’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা সভা📰বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহ ব্যাপি বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন📰আশাশুনির বুধহাটা ক্লাস্টারের দুরাবস্থাগ্রস্থ ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাণের ঝুঁকির মধ্যে চলছে ক্লাশ 📰আশাশুনিতে উপজেলা শুমারী  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

ক্রমশ নাব্যতা হারাচ্ছে বেতনা নদী : খনন করা না হলে বাংলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বেতনা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বুধবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৮
  • ৭৬০ সংবাদটি পড়া হয়েছে


শেখ বাদশা, আশাশুনি : আশাশুনি উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া বেতনা নদীতে পলি জমতে জমতে নাব্যতা হারাতে বসেছে নদীটি। অতিদ্রুত খনন কাজ শুরু না হলে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বেতনা নদী। সরেজমিন ঘূরে জানাগেছে যশোরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে উৎপন্ন হয়ে শার্শা উপজেলার নাভারনের কাছ দিয়ে বেতনা নদী প্রবাহিত হয়ে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিনারপোতা নামক স্থান থেকে একটি শাখা সৃষ্টি করে, যেটা ডলুয়া নাম ধারণ করে। বিনারপোতা থেকে বেতনা নদী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ও আশাশুনি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের বুক চিরে খোলপেটুয়া নদীতে গিয়ে মিশেছে এক সময়কার প্রমত্তা বেতনা নদী। আবহমানকাল থেকে বেতনা নদীটির দৈর্ঘ্য ১৯১ কিলোমিটার (১১৯ মাইল), গড় প্রস্থ ৫৫ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক বেতনা নদীর প্রদত্ত। নদীটির পরিচিতি নম্বর নং ৬৪। কালের বিবর্তনে বেতনা নদী আজ হারিয়েছে তার নব্যতা। বর্তমানে নদীটির চার ভাগের তিনভাগই ভরাট হয়ে নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে গেছে। এছাড়া সাতক্ষীরা সদরের বিভিন্ন এলাকায় নদীটি একেবারেই শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে এবং আশাশুনির অনেক স্থানে ভাটার সময় নদী হেটেই পার হয় সাধারণ মানুষ। নদীর তার নাব্যতা হারানোর ফলে লোকালয়ের মৎস্য ঘের খাল, বিলের থেকেও নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে উচু হওয়ার কারণে বর্ষী মৌসুমে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে পারেনা। উপরন্ত বর্ষা মৌসুমে সকল খালের গেটের স্লুইচ বন্ধ করে রাখতে হয়, যাতে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে না পারে। চলতি শীত মৌসুমে যদি বেনা নদীটি খনন করা না হয় তবে সামনের বর্ষা মৌসুমে আশাশুনি উপজেলা ও সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছে স্থানীয় সচেতন মহল। তথ্য অনুসন্ধানে জানাগেছে বেতনা নদীর উভয় পাড়ে নির্মান হওয়া ইটভাটা গুলো তাদের ইচ্ছামত নদীর চর দখল করে সেখানে নির্মান করছে কাঁচা ইট তৈরীর খামার। অন্যদিকে স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যুরা ইজারা না নিয়ে যে যার মত বেড়ীবাঁধ দিয়ে দখল করে নিচ্ছে নদীর চর। এমতাবস্থায় চলতে থাকলে কোন একদিন বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে মুছে যাবে বেতনা নদীর নাম। এলাকা প্লাবিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা ও মানচিত্রের বুকে নদীটি বাঁচিয়ে রাখতে বিষয়টি আমলে নিয়ে অতিদ্রুত খনন কাজ শুরু করতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নদী প্রিয় এলাকার সচেতন মহল।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd