1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৮ অপরাহ্ন
২ কার্তিক, ১৪৩১
Latest Posts

সরকারি নিয়মনীতি না মেনেই চলছে শ্যামনগরের বেশিরভাগ ক্লিনিক

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮
  • ৬০৩ সংবাদটি পড়া হয়েছে

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: ‘ভুল অপারেশনে প্রাণ গেল রোগীর’ এমন শিরোনামে প্রতিনিয়তই প্রকাশিত হচ্ছে খবর। যোগ্য ডাক্তার ও নার্সের অভাবে জেলার বিভিন্ন ক্লিনিকসমূহে এরকম ঘটনা ঘটছে অহরোহ। মানব সেবার নামে ক্লিনিকগুলো যেন হয়ে উঠেছে মৃত্যু ফাঁদ। এসব ফাঁদে পড়ে রোগীকে ভোগান্তিতো পোহাতে হয়ই রোগীর পরিবারের সদস্যরাও ক্লিনিকের খরচ বহন করতে করতে দিশেহারা। এমন দৃশ্য এখন জেলার সর্বত্রই দেখতে পাওয়া যায়। আর এর মূল কারণ সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সেবার নামে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে পরিচালিত হওয়া জেলার এসব ক্লিনিকের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ‘দৈনিক দক্ষিণের মশাল’ এ ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।

শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে সরকারি নীতিমালা না মেনে এম.বি.বি.এস ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্স ও লাইসেন্সবিহীন চলছে কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিক। এসব ক্লিনিকের বেশিরভাগ কাজ চলে স্বল্প শিক্ষিত নার্স দিয়ে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্লিনিকই চালানো হচ্ছে পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পাস নার্স দিয়ে। এসব ক্লিনিকে ডাক্তারের কাজ শুধুমাত্র অস্ত্রপচার পর্যন্ত। অস্ত্রপচারের পর ইনজেকশন থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ করেন অদক্ষ নার্সরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলার ১৩ টি ক্লিনিকের মধ্যে ১১ টি ক্লিনিকই চলছে নাম মাত্র ডাক্তার আর গুটিকতক অদক্ষ নার্স দিয়ে। এসব ক্লিনিক চালাতে ক্লিনিক মালিকরা সহযোগীতা নিচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় কিছু নেতাদের।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একটি ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক একজন এম.বি.বি.এস ডাক্তার ও একজন ডিপ্লোমা নার্স থাকতে হয়। থাকতে হয় নবায়ন লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, নারকুটি লাইসেন্স, ইনকামটেক্স ও ফায়ারসার্ভিস লাইসেন্স। এরপর অপারেশন থিয়োটারে (ওটি) এসি, হাউড্রোলিক টেবিলসহ সকল সার্জিকাল যন্ত্রপাতি থাকার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ক্লিনিকে এসবের বেশিরভাগই নেই।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত আরজি ক্লিনিক নার্সিং হোম, নওয়াবেঁকিতে দুইটি শামিমা ও ডাক্তার ফার্নান্দো নববে মাদার এন্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল, বংশীপুরে তিনটি শ্যামনগর ন্যাশনাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বংশীপুর নার্সিং হোম ও জননী নার্সিং হোম। শ্যামনগর সদরে সুন্দরবন নার্সিং হোম, নগর হাসপাতাল ও সেবা ক্লিনিক সরকারি কোন নিতিমালা না মেনেই নির্বিঘ্নে চালাচ্ছে তাদের ক্লিনিক ব্যবসা। রোগীদের জীবন নিয়ে ডাক্তার বিহীন ক্লিনিকগুলো খেলা করে গেলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।

এসব ক্লিনিকে ভর্তি রোগীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ডাক্তার অপারেশন করে রেখে চলে যায় এরপর নার্স দিয়ে তাদের সেবা করানো হয়। পরেরবার ডাক্তারের দেখা পেতে সময় লাগে ৩-৪ দিন। ডাক্তার যখন নতুন রোগীদের অপারেশন করতে আসেন তখন ভর্তি রোগীদের এক নজর দেখে যান।
অবৈধভাবে ক্লিনিক চালানোর কারণ জানতে চাইলে ক্লিনিক মালিকরা বলেন, ‘একজন এম.বি.বি.এস ডাক্তার ও ডিপ্লোমা নার্স সর্বক্ষণ রেখে রোগীদের চিকিৎস্য দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয়না। তবে ডাক্তার প্রতিদিন তাদের ক্লিনিকে এসে রোগীদের দেখে যায়। এছাড়া সব প্রকার লাইসেন্স সরকারিভাবে বন্ধ আছে।’

ডাক্তার, নার্স ও লাইসেন্সবিহীন এসব ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণ জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাক্তার তওহিদুর রহমান বলেন, ‘যে সময় আমি ক্লিনিক পরিদর্শন করতে যায় সেসময় ক্লিনিকে ডাক্তার ও নার্স উপস্থিত থাকে এজন্য কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি না। তবে যদি কোন ক্লিনিক সরকারি নিয়মনীতি না মেনে কার্যক্রম চালিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd