1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৬ অপরাহ্ন
৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰সাতক্ষীরা দেবহাটায় ছাত্রশিবিরের আন্ত:ওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত 📰আশাশুনির গাজীপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্য রোধের আবেদন📰প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন📰আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস📰অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২📰উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন📰‘উপকূলীয় নারীদের সফলতা ও জ্ঞানের কথা’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা সভা📰বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহ ব্যাপি বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন📰আশাশুনির বুধহাটা ক্লাস্টারের দুরাবস্থাগ্রস্থ ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাণের ঝুঁকির মধ্যে চলছে ক্লাশ 📰আশাশুনিতে উপজেলা শুমারী  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

তালায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে মিলছে সফলতা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ১৩৫৯ সংবাদটি পড়া হয়েছে
সেলিম হায়দার: সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে ঝুকছেন কৃষকরা। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে সফলতা মেলায় এবার গত বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ জমিতে আবাদ হয়েছে এ সবজির। চাষের উপযোগী মাটি ও অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান থাকায় আগামীতে আরো বেশি জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমোটো আবাদ করবেন কৃষকরা এমনটাই ধারণা করছেন স্থানীয় কৃষি অফিসের কর্মকর্তার ।
স্থানীয় কৃষি অফিসের তথ্যমতে, তালা উপজেলায় এবছর গ্রীষ্মকালীন টমেটো আবাদ হয়েছে মোট ৬ হেক্টর জমিতে। গত বছর যার পরিমাণ ছিল মাত্র সাড়ে ৩ হেক্টর। অসময়ে টমেটোর ভাল ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় স্থানীয় চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। তাদের এ সাফল্যে অন্যান্যরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এ সবজি চাষে।
কৃষি অফিস এবং কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বিঘা জমিতে টমেটোর আবাদ করতে খরচ হয় প্রায় ২ লাখ টাকা। যা বিক্রি হয় কমপক্ষে ৪ লক্ষ টাকা। অসময়ে বিঘা প্রতি ২ লাখ টাকা লাভ পেয়ে সামগ্রিকভাবে কৃষকদের শুধু অর্থনৈতিক পরিবর্তনই নয়, পরিবর্তন ঘটেছে মানসিক অবস্থারও।
জানা যায়, উপজেলার কৃষকরা মূলত বারি-৮ ও বারি-৪ জাতের টমেটোর আবাদ করেছেন। ফলন, মান ও চাহিদা অনুযায়ী ভাল দাম পাওয়ায় মূলত কৃষকরা এ দু’জাতের টমেটো চাষের জন্য বেছে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কথা হয় তালা উপজেলার নগরঘাটার কৃষক গাজী রহমানের সাথে। তিনি প্রায় ৫০ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর আবাদ করেছেন। ইতোমধ্যে তার ক্ষেত থেকে টমেটো উঠতে শুরু করেছে। তিনি জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে বিঘা প্রতি তার ২ লাখ টাকার উপরে লাভ হবে।
কথা হয় একই এলাকার আরো কয়েকজন কৃষকের সাথে। যার মধ্যে সফিকুল ইসলাম গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করেছেন ৫০ শতক জমিতে, রফিকুল ইসলাম ৫০ শতক, রেজাউল ইসলাম ৩৩ শতক, কালী বাড়ির মাসুদ রানা ৩৩ শতক এবং তৈলকূপির সাইফুর রহমান বাবু চাষ করেছেন ৬৬ শতক জমিতে।
তারা সবাই জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফলন হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত থেকে ইতোমধ্যে টমেটো উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে খুচরা ৮০ টাকা এবং পাইকারী ৭০ টাকা দরে। অসময়ে পাকা টমেটোর উপস্থিতি সবজির বাজারেও আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। দাম বেশী হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ থাকায় আগামীতে আবারও তারা গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করতে চান।
এব্যাপারে উপজেলার নগরঘাটা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখ অজিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এলাকার কৃষকদের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে আগের যেকোন সময়ের চেয়ে আগ্রহ বেড়েছে।
উপজেলার মাটি গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের উপযোগী ও লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগীতা প্রদান করা হচ্ছে।’
গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাধারণত মাচের্র প্রথম দিকে বীজ বপন করতে  হয় এরপর মে মাসে বীজতলা থেকে ওই চারা উঠিয়ে ক্ষেতে রোপন করতে হয়। সুষ্ঠুভাবে পরিচর্যা করতে পারলে জুন-জুলাই মাসে গাছে ফল আসতে শুরু করে। যা থেকে একাধারে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত টমেটো পাওয়া যায়।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ মামুন জানান, সারা বছরের সবজির চাহিদা পূরণে গ্রীষ্মকালীন টমেটো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। চাষের ক্ষেত্রে বারি-৪ ও বারি-৮ জাতের টমেটো চাষ করা ভালো। সাদা পলিথিনের ছাউনি দিয়ে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ খুবই সহজ। আমরা উপজেলা কৃষি অফিস টমেটো চাষীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd