কথ্যকবিতা

আলম সিদ্দিকী

ক.
মধ্যাহ্ন বিরতী শেষে পুনারায় যাযাবর হবে
ঘাসফড়িং ডানা, মধ্যাহ্ন বিরতীর আয়োজন
দশ কাঁধে স্নান সেরে রূপবতী পৃথিবীর টানে
নাগরিক বেশভুসা। মধ্যাহ্ন দিন :

আগন্তুক সূর্যের গায়ে শেরোয়ানি নাগরদোলা।

খ.
কামরাঙ্গার ডাল ভেঙ্গে সোনার হরিণ ধরলে
সুনির্ধারিত মধ্যদিন খসে পড়ে কৈশোর পুকুর পাড়ে।

পুকুরে শুয়ে শুয়ে ইতিবৃত্তে টান দেয় মাছরাঙ্গার
রক্তচোখ, দেয়াল ভূষণে তার আসে যায় না
ঢেউ গোনা নিয়তী হলে তলদেশে নিশ্চিত বাস করে
সোনার মোহর; অতএব কামরাঙ্গার ডাল ভাঙ্গলে
পৌষ মাসে কার সর্বনাশ আপাতত ভাবছি না।

গ.
প্রথম প্রথম রতেœর কারবারে রক্তে খেলতো
সিন্দাবাদের ভুত, মাঝ দরিয়ায় সুজন মাঝি
ডাকাত হয়ে চলে গেল নরক কেনা হাটে।

পাটাতন গলা তরঙ্গ এলে সহযাত্রীর মুখ দেখতে
ভালো লাগে ; দ্বিতীয় জীবনের আশা নেই
বৃথা ঘাটের খোঁজে যায় না মন
অবসাদের বজ্রা ভাসে।

ঘ.
উচ্ছুন্নের পথে স্বর্গে যেতে
সারাকাল কাটাকুটি খেলা পরীক্ষার খাতায়
কেটে কেটে শিল্প হতে রক্তের নদীতে ডুব সাঁতারে
নজর কাড়ে বিনিদ্র অশ্বমেদ। হাটুরে সময় নিজ থেকে
হাট বিছানো বন্ধ রাখে.. এরকম হরতাল বেলা
যে পড়শি আরশিনগরে সাজতে বসে
তার স্মৃতি আড়াল দিয়ে নরকবাসী হতে ইচ্ছে করে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *