1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰ইসকন নেতা চিন্ময় দাস বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার📰বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন উপলক্ষ্যে মানব বন্ধন📰উপকূলীয় নারীদের অভিযোজিত ও টেকসই সবজি চাষের লক্ষ্যে লিডার্সের সবজি বীজ ও জৈব সার বিতরণ📰সাতক্ষীরায় হারানো মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের ফেরত দিল পুলিশ📰সাতক্ষীরায় ১২০ টাকায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নির্বাচিত ৫৮ জন, অপেক্ষামান-৬ প্রার্থী📰সাতক্ষীরা দেবহাটায় ছাত্রশিবিরের আন্ত:ওয়ার্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত 📰আশাশুনির গাজীপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্য রোধের আবেদন📰প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন📰আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস📰অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২

হোলি আর্টিজান মামলায় অভিযোগপত্র, দুই জঙ্গির বিরুদ্ধে পরোয়ানা

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বুধবার, ৮ আগস্ট, ২০১৮
  • ৪৯৬ সংবাদটি পড়া হয়েছে

ঢাকা ব্যুরো : আদালত থেকে বের হচ্ছেন হাসনাত করিম। ঢাকা, ৮ আগস্ট। ছবি: সাইফুল ইসলামআদালত থেকে বের হচ্ছেন হাসনাত করিম। ঢাকা, ৮ আগস্ট। ছবি: সাইফুল ইসলামহোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবর রহমান এই আদেশ দেন। আদালত মামলার পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

পলাতক দুজন হলেন শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন।

তাঁদের ধরা গেল কি গেল না, এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন ১৬ আগস্ট জমা দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার দায় থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি গোলাম সারোয়ার খান প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের সম্পৃক্ততা না পেয়ে তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আজ মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন হাসনাত করিম।

গত ২৩ জুলাই পুলিশ এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়। হোলি আর্টিজান হামলার এ ঘটনায় ২১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। যাঁদের মধ্যে পাঁচজন ওই দিন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আটজন পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হন। জীবিত বাকি আটজনের মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার আছেন।

তাঁরা হলেন রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা। আদালত সূত্র বলছে, আজ এই ছয়জনকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে, সরকারকে কোণঠাসা করতে, দেশে-বিদেশি বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত করতে ও বিদেশি ক্রেতারা যেন চলে যায়—এসব কারণে হোলি আর্টিজানে ওই হামলা চালানো হয়। এখানে সরাসরি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে জঙ্গিদের এই হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্য ছিল। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী থেকে প্রযুক্তিগত সুবিধা পেতে তাঁরা হামলা চালিয়েছিলেন।

হোলি আর্টিজানকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে মনিরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিরা বিভিন্ন জায়গায় রেকি করেছিল। ছয় মাস আগে থেকে তাদের পরিকল্পনা ছিল। হোলি আর্টিজানে প্রচুর বিদেশি নাগরিক খাওয়াদাওয়া করতে আসতেন। এখানে নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রায় ছিলই না। তাই এই রেস্টুরেন্টকে তারা বেছে নেয়। এখান থেকে পালিয়ে যাওয়া যায় সহজে। এ ছাড়া ওই দিন ছিল শুক্রবার, ২৭ রমজান, বেশি সওয়াব পেতে তারা ওই দিন হামলা চালায়।

হোলি আর্টিজানের হামলার ঘটনায় মোট সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে ২১১ জনের। এর মধ্যে ১৪৯ জন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। এর বাইরে বিভিন্ন সংস্থার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অফিসার, ফরেনসিক টেস্ট যাঁরা করেছেন, তাঁদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিজানে জঙ্গিরা হামলা চালায়। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। ওই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়। পরে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন রেস্তোরাঁকর্মী।

হোলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় সেনাবাহিনীর অপারেশন থান্ডারবোল্টে নিহত হন পাঁচজন। তাঁরা হলেন রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

আর হোলি আর্টিজানের ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হন আটজন। নারায়ণগঞ্জে নিহত হন গুলশান হামলার প্রধান পরিকল্পনকারী তামিম চৌধুরী, ঢাকার সাভারে সরোয়ার জাহান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাশারুজ্জামান ও মিজান ওরফে ছোট মিজান, মোহাম্মদপুরে নুরুল ইসলাম ওরফে মারজান, রূপনগরে মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, লালবাগে তানভীর কাদেরী ও কল্যাণপুরে নিহত হন রায়হান ইবনে কবির।

গ্রেপ্তার আসামি রাজীব গান্ধী আদালতে দেওয়া জবানবন্দি বলেছেন, ২০১৬ সালের ৩০ জুন সকালে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসায় আসেন সারোয়ার জাহান। সবাইকে নিয়ে সেদিন ওই বাসাতেই হামলা করার জন্য বৈঠক করেন। সেখানে ১ জুলাই হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর সেদিন সকাল ১০টায় জঙ্গি বাশারুজ্জামান বসুন্ধরার ওই বাসায় এসে হামলাকারীদের কাছে অস্ত্র দিয়ে যান। এর সঙ্গে চারটি হাতে তৈরি বোমাও দেন তিনি। জঙ্গি নেতা তামিম সেদিন হামলাকারীদের জানিয়ে দেন, আসরের নামাজের পর জঙ্গি রোহান, নিবরাস ও মোবাশ্বের বাসা থেকে যেন বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পর শফিকুল ও খাইরুলকে বের হতে বলেন তামিম। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই ভাগে ভাগ হয়ে আক্রমণকারীরা কিছু পথ রিকশায় এবং কিছু পথ হেঁটে সেদিন গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে আসেন। ইফতারের পরপরই জঙ্গিরা হামলা শুরু করেন। ভেতরে থাকা সবাইকে জিম্মি করে ফেলেন জঙ্গিরা।

আক্রমণের জন্য এই পাঁচজনকে বাছাই করে পাঠান শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও রাজীব গান্ধী। হামলাকারীদের প্রশিক্ষক ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদুল ইসলাম, রিগ্যান ও আবু রায়হান ওরফে তারেক। সফটওয়্যার প্রকৌশলী বাশারুজ্জামান জঙ্গিদের আনুষঙ্গিক কাজে সহায়তা করেন। আর হামলায় অংশ নেওয়া পাঁচ জঙ্গিসহ জঙ্গি নেতাদের জন্য বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া করে দেন ব্যাংক কর্মকর্তা তানভীর কাদেরী।

জঙ্গিদের ধর্মীয় প্রশিক্ষক ছিলেন নব্য জেএমবির শুরা সদস্য সারোয়ার জাহান। গুলশানে হামলার আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখে আসেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ভারত থেকে অস্ত্র সংগ্রহ এবং বোমা তৈরি ও সরবরাহে যুক্ত ছিলেন হাদিসুর রহমান ওরফে সাগর, সোহেল মাহফুজ, রাশেদ, বড় মিজান ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান। মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন হোলি আর্টিজানে হামলার প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd