শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজ জেতার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো মুমিনুলদের

ক্রীড়া ডেস্ক: শেষ ম্যাচে ৮ উইকেটে হেরে সিরিজ জেতার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো মুমিনুলদের। তাতে সিরিজ শেষ হয়েছে ২-২ সমতায়।
২৮৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা আইরিশদের জয়ের মঞ্চটা তৈরি করে দেন অ্যান্ড্রু বালবার্নি। ১৪৪ বলে খেলেন ১৬০ রানের অতিদানবীয় ইনিংস। তার অপরাজিত ইনিংসে ছিল ১৮টি চার ও ২টি ছয়। সঙ্গে ৮৯ রান করেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন। এ দুজনের ব্যাটে ভর করে আসে ২২৯ রান। আইরিশরা দাপুটে ভঙ্গিতে খেলে জয় নিশ্চিত করে ৪৬.৪ ওভারে। শুরুতে ৩২ রানে ওপেনার জেমস শ্যাননকে শরিফুল ফেরালেও পরে আর তাদের প্রতিরোধ ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ এ দল। দলীয় ২২৯ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটান সানজামুল ইসলাম।

আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে আগের ম্যাচে রেকর্ডময় ইনিংস খেলেছিলেন মুমিনুল হক। শেষ ম্যাচেও জ্বলে উঠতে চেয়েছিলেন। আগের ম্যাচে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করতে না পারার আক্ষেপ ছিল সঙ্গী। শেষ ওয়ানডেতেও ৪ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ৪৬ রানে। অধিনায়ক বেশি ভূমিকা রাখতে না পারলেও পঞ্চম ওয়ানডেতে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন ও ফজলে মাহমুদের জুটিবদ্ধ ইনিংসে ২৮৩ রানের বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

শুরুটা ভালো করার প্রত্যাশায় টস জিতে মুমিনুল নেন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। ডাবলিনে ৩৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল সফরকারী দল। মুমিনুল সেই চাপ থেকে দলকে উদ্ধার করেন নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটি বেঁধে। ৭১ রানে শান্তকে ফিরিয়ে স্বস্তি ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন সিমি সিং। তাতেও ঠেকানো যায়নি মুমিনুলের প্রতিরোধ। মিঠুনের সঙ্গে মিলে আবারও এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। দলীয় শত রান পূরণের একটু পর মুমিনুলের প্রতিরোধ ভেঙে দেন পিটার চেজ। তাকে ৪৬ রানে তালুবন্দি করেন জোনাথন গার্থ। মুমিনুলের ৬২ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও একটি ছয়।
আগের দিন একক আধিপত্য দেখিয়েছেন মুমিনুল। এদিন যৌথভাবে দলকে সামাল দিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন ও ফজলে মাহমুদ। দুজনের দায়িত্বশীল ইনিংসে ভর করে বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ৮ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৮৩ রান।

দিনের আলোচিত ইনিংস খেলা মিঠুন ৭৩ বল খেলে করেন ৭৩ রান। গার্থের বলে বিদায় নেওয়া এই ক্রিকেটারের ইনিংসে ছিল ৯টি চার। অপর দিকে গ্রাহাম কেনেডির বলে বোল্ড হওয়া ফজলে মাহমুদ ৬৩ বল খেলে বিদায় নিয়েছেন ৭৪ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার।

আয়ারল্যান্ড উলভসের পক্ষে সফল বোলার ছিলেন পিটার চেজ। ৪২ রানে ৫ উইকেট নেন। একটি করে নেন সিমি সিং, জোনাথন গার্থ ও গ্রাহাম কেনেডি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *