1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০১:২৮ অপরাহ্ন
২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
Latest Posts
📰বিষ্ণুপুর আস্থা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল, ডেন্টাল ও ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প📰প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত! হামজার মাথা, সোহেলের বুলেট — জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘ফুটবল মহোৎসব📰জাতীয় বাজেট ঘোষণা, ঘোষণার পরই বাজারে আগুন! দাম বাড়বে এসব জিনিসের📰জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য বরাদ্দ ৪০৫ কোটি টাকা📰আশাশুনিতে বজ্রপাতে রাজমিস্ত্রী নিহত📰প্রশাসন জানে, তবু নীরব! ভাঙা এল্লারচর সেতুতে চলছে জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত📰সরকারি চাল গুদামে নয়, বাজারে,শ্যামনগরে ৭৫ বস্তা চাল জব্দ📰জেলের চাল ৫৬ কেজির জায়গায় ৩১ কেজি! বাকিটা গেল কোথায়?📰বিদায় বললেন ম্যাক্সওয়েল📰জুলাই সনদ ঘোষণার আগে  নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নয়: নাহিদ ইসলাম

না ফেরার দেশে নোবেলজয়ী সাহিত্যিক স্যার ভিএস নাইপল

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : রবিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৮
  • ৭৭৬ সংবাদটি পড়া হয়েছে

মশাল ডেস্ক: সাহিত্যে নোবেলজয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক স্যার ভিএস নাইপল আর নেই। শনিবার তার মৃত্যুর সংবাদ ঘোষণা করেছেন তার স্ত্রী লেডি নাইপল। ৮৫ বছর বয়সে লন্ডনে নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় ত্রিনিদাদে জন্মগ্রহণকারী এই লেখকের। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।

স্যার ভিএস নাইপল

লেডি নাইপল জানান, যাদের সঙ্গে তিনি জীবন কাটাতে ভালোবাসতেন মৃত্যুর সময়ে তারা তার পাশে ছিলেন। নাইপলকে ‘যা কিছু অর্জন করেছেন সেগুলোতেই মহান’ ছিলেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ৩০টিরও বেশি বইয়ের লেখক নাইপল ১৯৭১ সালে বুকার প্রাইজ লাভ করেন আর ২০০১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। স্যার ভিদিয়া নামে পরিচিত এই ঔপন্যাসিক ২০১৬ সালে ঢাকা লিট ফেস্টে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছিলেন। তার জন্ম ১৯৩২ সালে ত্রিনিদাদে। ‘এ বেন্ড ইন দ্য রিভার’ ও ‘এ হাউস ফর মি. বিশ্বাস’ তার সর্বাধিক পঠিত বই।

বিবিসি জানায়, নাইপলের মৃত্যুতে তার অনুরাগীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। মেইল অ্যান্ড সানডে সম্পাদক ও স্যার ভিদিয়ার বন্ধু জিওরডি গ্রেইগ বলেছেন, তার মৃত্যুতে ব্রিটেনের সাহিত্য ঐতিহ্যে শূন্যতা তৈরি করবে। তবে তার বইগুলো বেঁচে থাকবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

লেখক আনন্দ গিরিধারাদাস বলেছেন, তিনি তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। আরেক লেখক জিত হিম তাকে শক্তিশালী ঔপন্যাসিক আখ্যা দিয়েছেন। লেখক প্যাট্রিস ইওরসিক তাকে ক্যারিবিয় সাহিত্যের টাইটান আখ্যা দিয়েছেন।

এক অনুরাগী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, নাইপলের মতো অন্য কেউ তাকে এতো পড়তে উৎসাহিত করেননি। আরেক অনুরাগী টুইটারে লিখেছেন নাইপলের ‘এ হাউস ফর মি. বিশ্বাস’ ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্মৃতিতে রয়ে গেছে।

ছোটবেলায় বাবার কাছ থেকে সেক্সপিয়ার-এর ডিকেন্স পড়েছেন নাইপল। হিন্দু পরিবারে জন্ম নেওয়া এই লেখক ত্রিনিদাদের কুইনস রয়েল কলেজে পড়ালেখার সুযোগ পান। ১৯৫০ সালে পছন্দের যেকোনও কোনও কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বৃত্তি পেলে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ওই সময়েই তিনি ব্রিটেন চলে আসেন। ছাত্রাবস্থায় হতাশায় ভুগে আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন তিনি।

১৯৫১ সালে তার প্রথম বই ‘দ্য মিসটিক মাসিউর’ প্রকাশিত হয়। তার প্রায় এক দশক পর প্রকাশিত হয় তার সবচেয়ে বহুল প্রচারিত বই ‘এ হাউস ফর মি. বিশ্বাস’। তিন বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল তার এই বইটি লিখতে।

নোবেল কমিটি নাইপলকে আধুনিক দার্শনিক আখ্যা দেন। ১৯৯৬ সালে তার প্রথম স্ত্রী প্যাট্রিসিয়া হেল মারা গেলে পরে তিনি পাকিস্তানি সাংবাদিক নাদিরাকে বিয়ে করেন।

২০১৬ সালে বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত তিনদিনের ঢাকা লিট ফেস্টের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন ভিএস নাইপল। ওই বছরের ১৭ নভেম্বরের উদ্বোধনী দিনে নাইপলের ওপর নির্মিত বিশেষ তথ্যচিত্র ‘দ্য স্ট্রেঞ্জ লাক অব নাইপল’ দেখানো হয়। উৎসবের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় ‘দ্য রাইটার অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক আলোচনা সেশনে অংশ নেন তিনি। বিপুল সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে সেখানে প্রাণবন্ত আলোচনা করেছিলেন তিনি। লিট ফেস্ট শেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি পাখিও দেখতে গিয়েছিলেন তিনি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2025
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd