নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রবল জোয়ারের তোড়ে সাতক্ষীরার আশাশুনির হাজরাখালীতে খোলপেটুয়া নদীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে তিনটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে শতাধিক মৎস্য ঘের। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অর্ধ শতাধিক পরিবার।
রবিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-২ এর আওতাধীন ৪ নং পোল্ডারের কাছাকাছি হাজরাখালী নামক স্থানে প্রায় ৬০/৭০ ফুট এলাকা জুড়ে বেঁড়িবাধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। দ্রুত এ বেড়িবাঁধটি সংস্কার করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে আরো নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হবে আশংক্সক্ষা করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে বাঁধটি ভাঙ্গার ফলে প্রায় ৬০/৭০ ফুট প্রসস্থ জায়গাজুড়ে নদীর পানি প্রবল বেগে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। যার ফলে ইতিমধ্যে মাড়িয়ালা, থানাঘাটা ও বকচর গ্রামের নিম্নাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে শতাধিক মৎস্য ঘের। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অর্ধ শতাধিক পরিবার। বেড়িবাঁধটি দ্রুত সংস্কার করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, বাঁধটি আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বিষয়টি পাউবো কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানোর পরও তারা তেমন কোন গুরুত্ব দেয়নি। চলতি অমাবস্যার কারণে নদীতে জোয়ার তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই বাঁধটি নদী গর্ভে ধ্বসে পড়ে।
তিনি আরো জানান, বাঁধটি মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় গতকাল (১১ আগস্ট শুক্রবার) থেকে সেখানে স্থানীয়দের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বাধ সংস্কারের প্রাণপন চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। হঠাৎ দুপুরের প্রবল জোয়ারে তা ভেঙ্গে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কেউ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়নি বলে তিনি আরো জানান।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বাঁধটি সংষ্কারের জন্য একজন ঠিকাদার ইতিমধ্যে নিয়োগ করা হয়েছে। চলতি আমাবস্যা গণের পরপরই কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।
এ ব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাফফারা তাসনীন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দ্রুত বাঁধ সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply