1. faysal.ce@gmail.com : dakshinermashal :
  2. abuhasan670934@gmail.com : Hasan :
  3. sakalctc.bd@gmail.com : Nityananda Sarkar : Nityananda Sarkar
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন
৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
Latest Posts
📰প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন📰আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস📰অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা, সাতক্ষীরা সীমান্তে আটক ২📰উপকূলীয় জীবনের সুরক্ষায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন📰‘উপকূলীয় নারীদের সফলতা ও জ্ঞানের কথা’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা সভা📰বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহ ব্যাপি বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন📰আশাশুনির বুধহাটা ক্লাস্টারের দুরাবস্থাগ্রস্থ ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাণের ঝুঁকির মধ্যে চলছে ক্লাশ 📰আশাশুনিতে উপজেলা শুমারী  কমিটির সভা অনুষ্ঠিত📰পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ!প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি📰জলবায়ু ন্যায্যতার দাবীতে সাতক্ষীরাতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

শাকবাড়ীয়া ও কপোতাক্ষ নদীর অব্যাহত ভাঙনে দ্বীপে পরিণত হতে চলেছে কয়রার ১৭ টি গ্রাম

প্রতিবেদকের নাম :
  • হালনাগাদের সময় : বুধবার, ২০ জুন, ২০১৮
  • ৮৭৪ সংবাদটি পড়া হয়েছে

কয়রা প্রতিনিধি: খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাব্বুনিয়া গ্রামে শাকবাড়ীয়া আর কপোতাক্ষ নদীর অব্যাহত ভাঙনে দ্বীপে পরিণত হতে চলেছে কয়রার ১৭ টি গ্রাম। অথচ এ বিষয় কোন কার্যকারী পদক্ষেপ নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষ।

জানা যায়, ১৯৭০ সালে ২ টি নদীর অব্যাহত ভাঙনের কারণে গাব্বুনিয়া গ্রামের উপর দিয়ে ৫/৬ শত ফুট দৈর্ঘের নদী খনন করে কপোতাক্ষ ও শাকবাড়ীয়া নদীর সাথে যুক্ত করা হয়। এ সময় দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ১৩ টি ও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের ৪ টি গ্রামসহ ১৭ টি গ্রাম একটি দ্বীপে পরিণত হয় এবং মানুষ খেয়া নৌকায় চলাচল করত। কয়েক বছর চলার পর খনন করা নদীটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় ১৯৭৪ সালে ২ নদীর পাড়ে আবার বেঁড়ীবাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

প্রায় দীর্ঘ ৩ দশক চলার পর আবারও শাকবাড়ীয় ও কপোতাক্ষ নদীর অব্যাহত ভাঙনে বেঁড়ীবাঁধ ধ্বসে পড়ায় ১৭ টি গ্রামের ১২ টি ওয়ার্ডের প্রায় ৪২ হাজার মানুষের জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

এছাড়া দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের গোলখালি গ্রামের শাকবাড়ীয়া নদীর তীরে কোষ্ট গার্ডের আঞ্চলিক অফিস এবং একই ইউনিয়নের খাসিটানা গ্রামে নৌ পুলিশ ক্যাম্প, পাইলট অফিস, কাষ্টম অফিস সহ আংটিহারা গ্রামে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেষ্ট হাউজ এছাড়া রয়েছে কোবাদাক ফরেষ্ট স্টেশন, বজবজা ও খাসিটানা ফরেষ্ট ক্যাম্প, ঘড়িলাল ও জোড়সিং বৃহত্তর ২ টি বাজার এবং সুন্দনবনের জেলে বাওয়ালী সহ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিরা নিয়মিত বাজার করেন।

অন্যদিকে সুন্দরবন বেষ্টিত ১৭ টি গ্রামের মধ্যে রয়েছে গোলখালি, জোড়সিং ও পদ্মপুকুর মাছ বিক্রয় কেন্দ্র, যেখানে প্রতিদিন সুন্দরবনের মাছ সহ স্থানীয় চিংড়ি ঘেরের শত শত মণ মাছ কেনা বেচা হয় এসব বাজারে এবং ব্যবসায়ীদের কয়রা সদর সহ অন্যত্র যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগ গাব্বুনিয়া গ্রামের ওয়াপদা বেঁড়ীবাঁধ।

এলাকাবাসী জানায়, অব্যাহত নদী ভাঙনের ফলে কপোতাক্ষ ও শাকবাড়ীয়া নদী মিশে যেতে পারে যে কোন সময়। তারা জানায় ৩ দশক আগে এখানে যাতায়তের জন্য খেয়া নৌকা পারপার ছিল এবং নদী ভাঙন রোধ করতে না পারায় আবারও হয়ত খেয়া নৌকায় পারাপার হতে হবে ১৭ গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষের।

এ বিষয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আঞ্চলিক শাখা কর্মকর্তা মশিউর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি সরকারি কোন বরাদ্দ না থাকায় তাদের কিছু করার নেই বলে জানান।

উল্লেখ্য গত ১৫ ই রমজান প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে টেকসই বাঁধ নির্মানের প্রতিশ্রতি ব্যাক্ত করেন।

সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ নুরুল হক জানান, তিনি বিষয়টি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন এবং পাউবোর সকল উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবগত করেছেন। তিনি আশা করছেন জরুরি ভিত্তিতে গাব্বুনিয়া গ্রামে ২ টি নদীর তীরে দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

কিন্তু এসব আশ্বাসের কথা এলাবাসী সহ উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ মানতে নারাজ। সে জন্য উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম মোহসিন রেজা জানান, স্থানীয় জনগন বাচার তাগিদে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করায় বাঁধ কোন রকমে টিকে আছে।

তিনি বলেন পাউবোর অব্যাবস্থাপনার কারণে এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ গুরুত্ব না দেওয়ায় কয়রা উপজেলা থকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে দক্ষিণ ও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের ১৭ টি গ্রাম।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর :
© All rights reserved © 2024
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd